জুয়ার টাকার যোগান দিতে স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে হত্যা

চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণে স্বর্ণ ব্যবসায়ী অমর সরকার হত্যাকাণ্ডের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রধান দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। এ সময় লুণ্ঠিত ৪০ ভরি স্বর্ণ এবং নগদ ১৮ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ধারাল অস্ত্র জব্দ করা হয়।
বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় চাঁদপুর পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ সংবাদ সম্মেলন করে স্বর্ণ ব্যবসায়ী অমর সরকার হত্যাকাণ্ডের বিস্তারিত তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, অমর সরকারের দোকানের কর্মচারী অনিক এবং হৃদয় জুয়াখেলায় ঋণগ্রস্ত ছিল। তার জুয়ার টাকার জন্যই ব্যবসায়ী অমর সরকারকে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ধারাল অস্ত্র দিয়ে হত্যা করে। এমন পরিস্থিতিতে এর আগেও অমর সরকারকে হত্যা করে তার সঙ্গে থাকা স্বর্ণালঙ্কার ও টাকা হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টার করেছিল তারা। কিন্তু তখন সুযোগ না হওয়ায় এবার নতুন করে পরিকল্পনা করে। মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডের মূল আসামিদের গ্রেপ্তার করা পুলিশের জন্য একটি মাইলফলক।

এর আগ, সোমবার দিবাগত রাতে চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলায় স্বর্ণ ব্যবসায়ী অমর ভক্ত সরকারের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার সাথে থাকা কর্মচারী জয় বিশ্বাস প্রকাশ অনিককে (২২) থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। পুলিশের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে অনিক হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত বলে স্বীকারোক্তি দেন। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুসারে সহযোগী হৃদয় সূত্রধরকে আটক করে হয়।
আটক অনিক মুন্সিগঞ্জ জেলার লৌহজং উপজেলার তব্রিয়া গ্রামের অর্জুন বিশ্বাসের ছেলে এবং অপর আসামি হৃদয় সূত্রধর মতলব দক্ষিণ উপজেলার সারপাড় গ্রামের গোপাল সূত্রধরের ছেলে। আসামিরা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
নিহত অমর সরকার নারায়ণপুর বাজারে মাধবী শিল্পালয় নামে একটি জুয়েলারি দোকানের মালিক। তার স্ত্রী ছাড়াও শিশু দুই সন্তান রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) সুদীপ্ত রায়, মতলব সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার ইয়াসির আরাফাত, মতলব দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহিউদ্দিন মিয়া, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মফিজুল ইসলাম খান এবং মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (উপপরিদর্শক) হাবিবুর রহমান প্রমুখ।
শরীফুল ইসলাম/আরআই