চাঁদপুরে মেরিন শিক্ষার্থীদের কঠোর কর্মসূচির হুমকি

চাঁদপুর ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজির শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন শিক্ষার্থীরা। রোববার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে চাঁদপুর শহরের গাছতলা এলাকায় ক্যাম্পাসে প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেন তারা।
হামলায় সাত শিক্ষার্থীসহ ক্যাম্পাসের নিরাপত্তাকর্মী আহত হন। তারা হলেন শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম, রুহুল আমিন রনি, কাউসার ইসলাম ও আসলাম শেখ, ফারহান আহমেদ, কায়েস মাহমুদ, জনি ও কিবরিয়া।
সামিউল ইসলাম, আবদুল্লাহ তানভির ও মো. কায়েসসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, ২৫ ফেব্রুয়ারি বিকেলে মেঘনা নদীর পাড়ে কিছু শিক্ষার্থী বসে ছিল। এ সময় ষোলঘর এলাকার সোহানের নেতৃত্বে কিছু যুবক হঠাৎ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। ওই সময় আমাদের পাঁচ শিক্ষার্থী আহত হয়।
তারা আরও বলেন, ২৬ ফেব্রুয়ারি দুপুরে বিষয়টি নিয়ে বসতে চাইলে বহিরাগতরা আমাদের ওপর আবারও হামলা করে। এতে আরও দুজন আহত হয়। এরপর রাতে ক্যাম্পসে ঢুকতে চাইলে নিরাপত্তাকর্মী কিবরিয়ার ওপর হামলা করে ক্যাম্পাসে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়।
এ ছাড়া আমাদের শিক্ষার্থীদের রুমে (মেসে) গিয়ে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসে। প্রতিনিয়ত রাস্তার পাশ থেকে প্রতিষ্ঠানের ভেতরে ইটপাটকেল ছুড়ে মারে। এই হামলার বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচি আরও কঠোর হবে।
চাঁদপুর ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজির অধ্যক্ষ ড. ইঞ্জিনিয়ার মো. শাখাওয়াত আলী বলেন, অনাকাঙ্ক্ষিত একটি পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ঘটনার সময় আমি ছিলাম না, পরে শুনেছি। প্রতিটি বিষয়ের ন্যায় বিচার আছে। আমি উভয়ের বক্তব্য শুনে পরবর্তী সময়ে ব্যবস্থা নেব। আমি আশাবাদী দ্রুত এ ঘটনার সমাধান হবে।
চাঁদপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুর রশিদ বলেন, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কোনো কারণে ভুল-বোঝাবুঝি হয়েছে। ককটেল বিস্ফোরণ হয়নি, ইট ছুড়েছে। এখানে বড় কিছু হয়নি। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে।
শরীফুল ইসলাম/এনএ