আ.লীগ সরকারের কাছ থেকে দেশ উদ্ধার করা না গেলে দুঃখ আছে

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেছেন, ২০০৭ সালে এক দল ডাকাত আমাদের এই দেশ দখল করে নিয়েছে। তাদের উত্তরসূরী হিসেবে ২০০৮ সালে লাখ লাখ গণতন্ত্রকামী নেতাকর্মীকে বন্দি রেখে ডাকাতির মাধ্যমে বিদেশি চক্রান্তে সরকার গঠন করে।
বুধবার (২ মার্চ) নগরীর অশ্বিনী কুমার হল চত্বরে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এবং সর্বগ্রাসী দুর্নীতির প্রতিবাদে বরিশাল দক্ষিণ ও উত্তর জেলা বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেন, এই সরকারকে আমরা এখনো মনে করি অবৈধ এবং অনির্বাচিত সরকার। একই সাথে তারা ২০১৪ এবং ২০১৮ সালে একই কাজ করে। এদেরকে ভোট চোর বললে মানায় না। এরা হলো ডাকাত। এরা লুটেরা, নির্যাতক, খুন-গুমকারী। অতএব এদের কাছ থেকে দেশ পুনরুদ্ধার করা না গেলে সবার কপালে দুঃখ আছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের হাই কোর্টের বিচারক মন্তব্য করেছেন; বাংলাদেশের প্রশাসন এখন ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির গভর্নর হিসেবে কাজ করছে।
পুলিশের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, জনগণ যখন ডাকাতের বিরুদ্ধে দাঁড়াবে তখন আপনারা জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড়াবেন না, আপনারা ডাকাতের বিরুদ্ধে দাঁড়াবেন।
বিক্ষোভ সমাবেশকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই বরিশালের দক্ষিণ ও উত্তর জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে সভাস্থলে জড় হন। এ সময় নেতাকর্মীদেরকে সরকার পতনের স্লোগান দিতে দেখা যায়। সমাবেশকে কেন্দ্র করে যেকোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা প্রতিরোধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্য তৎপর ছিলো।
বিক্ষোভ সমাবেশে দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মজিবুর রহমান নান্টুর সভাপতিত্বে ও জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আক্তার হোসেন মেবুল, উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মিজানুর রহমান মুকুলের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন- কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিন, সহসাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান, মাহাবুবুল হক নান্নু, উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক দেওয়ান মো. শহিদুল্লাহ, বরিশাল মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব মীর জাহিদুল কবির জাহিদ, উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এবায়দুল হক চাঁন, যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাইফুল আলম নীরব প্রমুখ।
সৈয়দ মেহেদী হাসান/আরআই