ডেকে নিয়ে সাংবাদিকের ওপর হামলা

ফেনীর সোনাগাজীতে শরিয়ত উল্যাহ নামে এক সাংবাদিকের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে। সোমবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের সোনাপুর বাজারে স্থানীয় যুবলীগ নেতা আইয়ুব আলী ফরহাদের নেতৃত্বে এ হামলার ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় শরিয়ত উল্লাহকে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত শরিয়ত উল্যাহ দৈনিক ইত্তেফাকের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি সোনাগাজীর আমিরাবাদ ইউনিয়নের সোনাপুর মানু হাজী বাড়ির মৃত আমীর হোসেনের ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, পারিবারিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সম্প্রতি ঢাকা থেকে বাড়িতে আসেন শরিয়ত উল্লাহ। বেশ কিছুদিন ধরে তার ভাইদের সাথে এলাকার শহীদ উল্লাহদের জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। স্থানীয়ভাবে বিরোধ মেটানোর কথা বলে আমিরাবাদ ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব আলী ফরহাদ তাদের কাছে চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দিয়ে আদালতে মামলার মাধ্যমে সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করায় তার লোকজন শরিয়ত উল্লাহর পরিবারের ওপর ক্ষুব্দ হয়।
সোমবার শরিয়ত উল্লাহকে স্থানীয় সোনাপুর বাজারে ডেকে নিয়ে আইয়ুব আলী ফরহাদের নেতৃত্বে কয়েকজন যুবক অতর্কিতভাবে মারধর শুরু করেন। চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।
সোনাগাজী মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজেদুল ইসলাম পলাশ জানান, আমিরাবাদের ঘটনায় থানায় এজহার দায়ের করা হয়েছে। ওই এজহারে মনু মিয়ার ছেলে আইয়ুব আলী ফরহাদ, আলী আকবরের ছেলে শহীদ উল্লাহ, ছিদ্দিকুর রহমানের ছেলে জয়নাল আবেদীন ও আবুল কালামের ছেলে জসিম উদ্দিন, ওমর ফারুককে আসামি করা হয়েছে।
এদিকে অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা আইয়ুব আলী ফরহাদ বলেন, সোনাপুর বাজারে আমার দোকানের পাশে শহীদুল্লাহ তার দোকান মেরামতকালে শরিয়ত উল্লাহ এসে বাধা দেয়। এতে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হলে আমি উভয়পক্ষকে শান্ত করার চেষ্টা করি। মূলত ঘটনাস্থলে আমি উপস্থিত হওয়ায় আমাকে আসামি করা হয়েছে। এখানে হামলার কোনো ঘটনা ঘটেনি।
হোসাইন আরমান/আরএআর