বান্দরবানে গোলাগুলিতে নিহত চারজনের মরদেহ উদ্ধার
বান্দরবানের রোয়াংছড়ি-রুমা সীমান্তের পালংক্ষ্যং এলাকায় দুই সশস্ত্র গ্রুপের গোলাগুলিতে নিহত ৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার (৫ মার্চ) সন্ধ্যায় দুই গ্রুপের গোলাগুলির ঘটনায় তারা নিহত হয়। বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন বান্দরবানের পুলিশ সুপার জেরিন আখতার।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল (শনিবার) দুপুরে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (পিসিজেএসএস) সন্তু গ্রুপের এক ক্যাডারকে গুলি করার পর অপহরণ করে ইঞ্জিন বোটে নিয়ে যাওয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে। রোয়াংছড়ির তালুকদার পাড়ায় রুমা উপজেলার মধ্যবর্তী শংখ নদীর পালংক্ষ্যং এলাকায় উভয় পক্ষের মধ্যে গোলাগুলিতে এই চারজন নিহত হয়। নিহতরা স্থানীয় সন্ত্রাসী গ্রুপ মগ ন্যাশনাল লিবারেশন পার্টির (এমএনএলপি) সদস্য বলে ধারণা করছে স্থানীয়রা।
এ ঘটনার পর উক্ত এলাকার সাঙ্গু নদীর তীরে ৪ জনের মরদেহ পড়ে থাকে। খবর পেয়ে আজ (রোববার) সকালে সেনাবাহিনী ও পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করতে ঘটনাস্থলে রওনা হলেও বিকেলে তারা সেখানে পৌঁছে। এ সময় জলপাই রংয়ের সামরিক পোশাক পরিহিত নিহত সন্ত্রাসীদের মরদেহ নদীর চরের বাদাম ক্ষেতে উপুড় হয়ে পড়ে ছিল। পরে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত নিহতদের মরদেহ নৌ পথে বান্দরবান সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
এদিকে আজ (রবিবার) সকালে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে বৈঠকে পুলিশ সুপার জেরিন আখতার বলেন, কোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে বান্দরবানে থাকতে দেওয়া হবে না। সন্ত্রাসীদের কয়েকটি দল পার্বত্য এলাকার বিভিন্ন স্থানে চাঁদাবাজি, অপহরণ ও হত্যাকাণ্ডের মতো ঘটনা ঘটাচ্ছে।
গতকাল বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলায় সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা জেএসএস এর সাবেক এক সদস্য উনুমং মার্মাকে (৪৫) গুলি করে হত্যা করে। এখনও তার মরদেহের সন্ধান পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত, গত ২ ফেব্রুয়ারি বান্দরবানের রুমা উপজেলার বথিপাড়ায় সেনাবাহিনীর সঙ্গে সন্ত্রাসীদের গোলাগুলিতে সেনা সদস্য মো. হাবিবুর রহমান ও তিন জেএসএস সন্ত্রাসীসহ মোট ৪ জন নিহত হন। এ ঘটনায় আহত হয় এক সেনা সদস্য। এ সময় অভিযানে সন্ত্রাসীদের ব্যবহৃত ১টি এসএমজি, ২৪৯ রাউন্ড গুলি, ৩টি অ্যাম্যোনিশন ম্যাগাজিনসহ বিভিন্ন সরাঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
রিজভী রাহাত/আরআই
