আল্লামা শামসুল ইসলামের জানাজায় লাখো মানুষের ঢল

কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠে দেশের প্রখ্যাত প্রবীণ আলেম শাইখুল হাদীস আল্লামা শামসুল ইসলামের (৬৮) জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। তার জানাজায় অংশ নিতে লাখো মানুষের ঢল নামে।
জানাজা নামাজে ইমামতি করেন মরহুম মাওলানা শামসুল ইসলামের ছোট ছেলে মাওলানা মোহাম্মদ। জানাজা নামাজ শেষে মাওলানা শামসুল ইসলামকে কিশোরগঞ্জের বাগে জান্নাত কবরস্থানে সমাহিত করা হয়েছে।
জানাজায় অংশ নিতে শোলাকিয়া ঈদগাহে উপস্থিত হন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের ভারপ্রাপ্ত খতিব কিশোরগঞ্জের কৃতি সন্তান মুফতি সৈয়দ মাওলানা মিজানুর রহমান ও কিশোরগঞ্জ পৌরসভার নবনির্বাচিত মেয়র পারভেজ মিয়া। এছাড়াও কিশোরগঞ্জসহ গণ্যমান্য আলেম ওলামাগণ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে গিয়ে জানাজায় অংশ নেন।
প্রায় ১৯ দিন আইসিইউতে থাকার পর সোমবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টা ৫মিনিটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন তিনি। স্ত্রী, তিন ছেলে ও দুই মেয়েসহ অসংখ্য ছাত্র ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষী রেখে গেছেন তিনি।
আল্লামা শামসুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন। গত ১৯ জানুয়ারি তাকে প্রথমে কিশোরগঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। অবস্থার অবনতি হলে তাকে প্রথমে ঢাকার আজগর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও পরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তার আত্মার মাগফিরাতের জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। তার মৃত্যুতে কিশোরগঞ্জসহ সারাদেশের আলেম সমাজ ও মুসল্লিদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
মাওলানা শামসুল ইসলাম হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার স্বস্তিপুর গ্রামে ১৯৫৩ সালের ১ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম আলহাজ্ব মুর্তজা আলী।আল্লামা শামসুল ইসলাম ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আল জামিয়াতুল ইমদাদিয়ার শাইখুল হাদীস, ঐতিহাসিক শহীদী মসজিদের খতীব ছিলেন।
এসকে রাসেল/এসপি