সাহিত্য নিয়ে নিজেদের ভাবনা জানাল শিশুরা

নবম শ্রেণির ছাত্রী পিদিম অনন্তরূপা। সকালে ঘুম থেকে উঠার পর রাত অবধি প্রায় পুরোটা সময় কাটে তার পাঠ্যবইয়ের সঙ্গে আর প্রাইভেট-কোচিংয়ের পেছনে। তবুও তার মনে সাহিত্যের জন্য ব্যাকুলতা রয়েছে।
পিদিম অনন্তরূপার মতোই অন্য শিশুদের সাহিত্য-ভাবনা জানতে ময়মনসিংহে আয়োজন করা হয় এক সাহিত্য আড্ডার। শুক্রবার (১১ মার্চ) বিকেলে নগরীর রবীন্দ্র বটমূল সংলগ্ন শিশু কানন স্কুল আঙিনায় প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান পরম্পরা অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে। এতে মূল আলোচক ছিল দ্বিতীয় শ্রেণি থেকে একাদশ শ্রেণির শিশুরা। আর তাদের কথাগুলো শুনেছেন অভিভাবক ও অতিথিরা। ব্যতিক্রমী এ আড্ডার নাম দেওয়া হয় ‘সাহিত্য ভাবনায় শিশু’।
আলোচনা করতে গিয়ে ফারিবা ইসলাম প্রভা নামে এক ছাত্রী বলে, আমাদের ওপর প্রাইভেট-কোচিং চেপে বসেছে। আমরা সাহিত্য পড়তে বা চর্চার সময় করতে পারছি না। কিন্তু সাহিত্যকে আমাদের জানতে হবে, বুঝতে হবে। জানার জন্য অভিভাবকদের সহযোগিতা অবশ্যই প্রয়োজন। সাহিত্য হলো মনন মেধাকে উন্নত করার অন্যতম মাধ্যম।
পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র ফারিস রহমান বলে, শিল্প-সাহিত্যের ভেতর দিয়ে আমরা জীবনকে এগিয়ে নিতে চাই। আমি প্রচুর পড়ি। বেশি পড়ি রোমাঞ্চকর বই। এগুলো আমার খুব ভালো লাগে।
নিজেদের ভাবনা জানানোর পাশাপাশি কেউ কেউ আবার আবৃত্তি আর সংগীত পরিবেশন করে রাঙিয়ে তোলেন অনুষ্ঠানকে। শিল্পী তাপস মজুমদারের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য দেন, কবি শামসুল ফয়েজ, ছড়াকার সরকার জসীম, কবি মিজানুর রহমান টিটু, কবি জনপদ চৌধুরী, কবি নাফিস রাশান প্রমুখ। সঞ্চালনায় ছিলেন শিল্পী ঐশী তাজিন ও কথাশিল্পী সাদিয়া জামান।
পরম্পরার প্রধান কবি শামীম আশরাফ ঢাকা পোস্টকে বলেন, মূলত শিশুদের সাহিত্যপাঠে উদ্বুদ্ধ করতেই এই আয়োজন। সেইসঙ্গে সন্তান কোন বইটি পড়বে, কোনটি পড়ার উপযোগী তার দিকে অভিভাবকরা যেন মনোযোগী হন।
উবায়দুল হক/এসপি