পাগলা মসজিদের নামে মোবাইলে টাকা নেয় প্রতারক চক্র

সারাদেশেই কিছু প্রতারক পাগলা মসজিদের নামে টাকা নেয় বলে জানিয়েছেন কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসিজেদর ইমাম মুফতি মাওলানা মো. খলিলুর রহমান।
তিনি বলেন, আমি এই মসজিদের ইমাম। জীবনেও কারো কাছ থেকে ফুঁ দিয়ে বা দোয়া খয়রাত করে টাকা-পয়সা নেই না বা মসজিদের অন্য কোনো লোকও নেয় না। কিন্তু কিছু প্রতারক ইন্টারনেটে পাগলা মসজিদের নামে মোবাইল নম্বর দিয়েছে। সেই মোবাইল নম্বরে টাকা পাঠালে তারা তা আত্মসাৎ করে। এ বিষয়ে সবাইকে সাবধান থাকার অনুরোধ করছি।
মাওলানা মো. খলিলুর রহমান বলেন, কাউকে কোনো টাকা দেবেন না। আপনারা দান করলে সরাসরি পাগলা মসজিদে এসে টাকা দান করবেন।
সূত্র মতে, পাগলা মসজিদে মানত কিংবা দান খয়রাত করলে মনোবাসনা পূরণ হয় এমন বিশ্বাস থেকে নানা ধর্ম-বর্ণের নারী-পুরুষ মানত নিয়ে আসেন এখানে। তারা নগদ টাকা-পয়সা, স্বর্ণ ও রুপার অলঙ্কারের পাশাপাশি গরু, ছাগল, হাঁস-মুরগি দান করেন। বিশেষ করে প্রতি শুক্রবার এ মসজিদে মানত নিয়ে আসা বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষের ঢল নামে। আগতদের মধ্যে মুসলিমদের অধিকাংশই জুমার নামাজ আদায় করেন মসজিদে। সেই সুযোগটিকে কাজে লাগিয়ে একটি প্রতারক চক্র মানুষের কাছ থেকে পাগলা মসজিদের নাম করে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বলে জানা গেছে।
কিশোরগঞ্জ শহরের ঐতিহাসিক এ মসজিদটিতে আটটি লোহার দান সিন্দুক রয়েছে। প্রতি তিন মাস পর পর সিন্দুকগুলো খোলা হয়। করোনার কারণে এবারও ৪ মাস ৬ দিন পর শনিবার (১২ মার্চ) দান সিন্দুকগুলো খোলা হয়েছে। সিন্দুকগুলো থেকে এবার রেকর্ড ১৫ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে।
এর আগে সর্বশেষ ৬ নভেম্বর দান সিন্দুকগুলো খোলা হয়েছিল। তখন রেকর্ড ৩ কোটি ৭ লাখ ১৭ হাজার ৫৮৫ টাকা এবং বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া গিয়েছিল। এবার ৪ মাস ৬ দিন পর দান সিন্দুকগুলো খোলা হলো।
ইতোমধ্যে দেশের অন্যতম আয়কারী ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃত মসজিদটিকে পাগলা মসজিদ ইসলামী কমপ্লেক্স নামকরণ করা হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে মসজিদটিকে ঘিরে চলছে ব্যাপক উন্নয়নযজ্ঞ। এ ছাড়া মসজিদের আয় থেকে বিভিন্ন সেবামূলক খাতে অর্থসাহায্য করা হয়।
এসকে রাসেল/আরএআর