করোনা মোকাবিলা প্রধানমন্ত্রীর সবচেয়ে বড় সফলতা

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, করোনাভাইরাস মোকাবিলা প্রধানমন্ত্রীর সবচেয়ে বড় সফলতা। বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্ব আর সঠিক দিক নির্দেশনার কারণে বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি বিশ্বের যেকোন দেশের চেয়ে দ্রুততম সময়ে নিয়ন্ত্রিত হয়েছে।
রোববার (১৩ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৫টায় নওগাঁ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের জন্য কল্যাণ অনুদান ও করোনাকালীন আর্থিক সহায়তার চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর অনেক ধনী রাষ্ট্রের সাধারণ মানুষদের টাকার বিনিময়ে করোনা প্রতিষেধক ভ্যাকসিন গ্রহণ করতে হয়েছে। কিন্তু এ দেশের প্রধানমন্ত্রীর মানবিকতার কারণে জনগণ বিনা মূল্যে করোনার ভ্যাকসিন পেয়েছেন। এক কথায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এ সরকার করোনা মোকাবেলায় অত্যন্ত সফল। বর্তমানে দেশে করোনা নেই বললেই চলে। এ ক্ষেত্রে সাংবাদিক, প্রশাসন, রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ীসহ সর্বস্তরের জনগণের সহযোগিতায় এটি সম্ভব হয়েছে।
বর্তমান সরকার করোনাকালীন প্রতিটি সেক্টরে সহায়তা করেছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এরই ধারাবাহিকতায় সাংবাদিক বান্ধব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের সকল সাংবাদিকদের আর্থিক সহায়তা প্রদান অব্যাহত রেখেছেন। শুধু করোনাকালীন নয়, সাংবাদিকদের অসুস্থ্যতাজনিত আর্থিক সহযোগিতাও অব্যাহত রেখেছেন। বর্তমান সরকারের মতো আর কোনো সরকারের সুনজর ছিল না সাংবাদিকদের প্রতি।
খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেন, করোনা সংক্রমণ শুরুর প্রাক্কালে একটি মহল উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছিল, করোনা পরিস্থিতিতে কমপক্ষে ২ লাখ মানুষ অনাহারে মারা যাবে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর সুদুরপ্রসারী পরিকল্পনা আর মানবিকতার কারণে দেশে একটি মানুষও অনাহারে মারা যায়নি। যে সময় ওই মহল এমন আশঙ্কা করেছিল তখন দেশে ১৮ লাখ মেট্রিকটন খাদ্য মজুত ছিল। এ সময় সাংবাদিকতার আদর্শ মেনে দায়িত্বশীলতার সাথে পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
জেলা প্রশাসক খালিদ মেহেদী হাসানের সভাপতিত্বে আয়োজিত এ সভায় নওগাঁ জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও বাসস জেলা প্রতিনিধি কায়েস উদ্দিন এবং চেকপ্রাপ্ত ২ জন সাংবাদিক মীর মোশারফ হোসেন জুয়েল ও ওবায়দুল হক বক্তব্য রাখেন। চেক বিতরণের দ্বিতীয় পর্যায়ের এই অনুষ্ঠানে জেলার ১৯ জন সাংবাদিককে ১০ হাজার টাকা করে এবং একজন সাংবাদিককে ১ লাখ টাকার মোট ২ লাখ ৯০ হাজার টাকার চেক বিতরণ করা হয়।
মো. দেলোয়ার হোসেন/আরআই