চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে কেটে নিলেন বন বিভাগের গাছ

গাইবান্ধার সদর উপজেলার কুপতলা ইউনিয়নে নিয়মবহির্ভূতভাবে দরপত্র ছাড়াই সরকারি ইউক্যালিপটাস গাছ বিক্রির অভিযোগে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম সরকার তারার বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছে বন বিভাগ।
সোমবার (২১ মার্চ) দুপুরে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদুর রহমান।
এর আগে রোববার (২০ মার্চ) বিকেলে সরকারি গাছ অবৈধভাবে কাটার অভিযোগে কুপতলা ইউনিয়নের ওই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন গাইবান্ধা সামাজিক বনায়ন নার্সারি ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ এইচ এম শরিফুল ইসলাম।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গাইবান্ধা সদর উপজেলার কুপতলা ইউনিয়নের রেলক্রসিং থেকে গোডাউন বাজার পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার রাস্তার দুপাশে স্থানীয় উপকারভোগীদের নিয়ে বন বিভাগের উদ্যোগে ২০১০-১১ অর্থবছরে পাঁচ হাজার ইউক্যালিপটাস গাছ রোপণ করা হয়।
বন বিভাগ জানতে পারে, সেখান থেকে ১৫টি গাছ চেয়ারম্যান ও তার লোকজন নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে (১৮ মার্চ শুক্রবার) চুরি করে কেটে নিয়ে যায়। যার মূল্য ৭৫ হাজার টাকা। পরে গাইবান্ধা সামাজিক বনায়ন নার্সারির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে গিয়ে এর সত্যতা পান। তিনি বাদী হয়ে চেয়ারম্যান ও কুপতলা গ্রামের শফিউল ইসলামের ছেলে খালেক মিয়ার নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা সাত-আটজনকে আসামি করে সদর থানায় মামলা করেন।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের মোবাইল ফোনে কয়েকবার কল করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
গাইবান্ধা সামাজিক বনায়ন নার্সারি ও প্রশিক্ষণকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ এইচ এম শরিফুল ইসলাম বলেন, ১২ বছর আগে ওই এলাকার ৩০ জন উপকারভোগীকে নিয়ে গাছগুলো রোপণ করা হয়। নিয়মবহির্ভূতভাবে সেই গাছগুলো কেটে বিক্রি করেছেন চেয়ারম্যান। বন বিভাগের অনুমতি ছাড়া অভিযুক্তরা রাস্তার দুধারে গাছ কাটতে পারে না।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদুর রহমান বলেন, বন বিভাগের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মামলা করা হয়েছে। আসামিদের ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
রিপন আকন্দ/এনএ