চাকরি দেওয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে দলবেঁধে ধর্ষণ

যশোরে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে এক নারীকে (২৮) দলবেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় যশোর সদর উপজেলার বাহাদুরপুর এলাকার মেহগনি বাগানে এ ঘটনা ঘটে। রাতে ওই নারীকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় খুলনার ফুলতলা উপজেলার পত্তিপুর গ্রামের রসময় কুন্ডুর ছেলে মানিক কুন্ডু, ফুলতলা উপজেলার আলতা গ্রামের নবু খাঁর ছেলে আনোয়ার ও বাগেরহাটের হাসমত আলীর ছেলে রিয়াজুল কাজী জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। ওই নারী যশোরের অভয়নগর উপজেলার পায়রা গ্রামের বাসিন্দা।
যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ওই নারী অভিযোগ করেছেন তিনজন মিলে তাকে ধর্ষণ করেছে। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার অভিযোগ পুলিশ খতিয়ে দেখছে। সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একই সঙ্গে অভিযুক্তদের ধরতে পুলিশ কাজ করছে।
তিনি আরও জানান, পাঁচ বছর আগে স্বামীর সঙ্গে ওই নারীর বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে। তার পাঁচ বছর বয়সী একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। অভিযুক্ত আনোয়ার ও মানিকের সঙ্গে তার ৮-৯ বছর ধরে পরিচয়। আর রিয়াজুলের সঙ্গে দুই বছর ধরে পরিচয় ছিল। পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে অভিযুক্তরা ওই নারীর সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলে। তার কাছ থেকে ২০ হাজার টাকাও নিয়েছে তারা।
নির্যাতনের শিকার ওই নারী জানান, তার পূর্ব পরিচিত খুলনার ডুমুরিয়া এলাকার মানিক চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে শুক্রবার বিকেলে তাকে বাসে করে যশোর শহরে নিয়ে আসেন। যশোর টার্মিনাল এলাকায় পৌঁছালে রিয়াজুল ও আনোয়ার নামে আরও দুইজনকে মানিক সাথে নেন। হাশিমপুর গ্যাস ফিল্ডে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ওই তিনজন তাকে ইজিবাইকে বিভিন্ন স্থানে ঘুরিয়ে রাতে বাহাদুরপুর এলাকায় নিয়ে যান।
বাহাদুরপুর বাঁশতলা আবাসিক এলাকায় প্রাচীর ঘেরা একটি স্থানে নিয়ে তারা তাকে ধর্ষণ করেন। এ সময় চিৎকার করলে তাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। এতে তিনি অচেতন হয়ে পড়লে মৃত ভেবে ওই তিনজন পালিয়ে যান। পরে জ্ঞান ফিরলে স্থানীয়দের সহযোগিতায় পুলিশ তাকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার আরিফ আহম্মেদ জানান, ধর্ষণের ঘটনায় এক নারী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। গাইনি চিকিৎসকরা তাকে দেখছেন। প্রাথমিকভাবে আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। ধর্ষণের বিষয়ে পরীক্ষার পর নিশ্চিত করে সব কিছু বলা যাবে। এছাড়াও তার শরীরের একাধিক স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
জাহিদ হাসান/আরএআর