গরমে ৬০০ মুরগির মৃত্যু, বিদ্যুৎ অফিসের বিরুদ্ধে অভিযোগ

রংপুরে গরমে এক খামারির ৬০০ মুরগি মারা গেছে। বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) রাতে সদর উপজেলার চন্দনপাট ইউনিয়নের কাজীপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। এতে প্রায় দুই লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন হাসানুর রহমান নামে ওই খামারি। এ ঘটনায় পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত খামারি।
ক্ষতিগ্রস্ত খামারির দাবি, বিদ্যুৎ বিল বকেয়া না থাকার পরও পল্লী বিদ্যুৎ অফিস থেকে খামারের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। এরপরই গরম সহ্য করতে না পেরে খামারের ৬০০ মুরগি মারা গেছে।
খামারি হাসানুর রহমান জানান, গত ফেব্রুয়ারিতে ৭ হাজার ২০০ টাকা বকেয়া বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ সাপেক্ষে নতুন করে সংযোগ নিয়ে মেসার্স মুনতহা পোল্ট্রি ফার্ম গড়ে তোলেন। কিন্তু হঠাৎ করে ২৪ হাজার টাকা বকেয়া বিল থাকার অভিযোগ তুলে গত বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) বিকেলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের লোকজন।
হাসানুরের দাবি, বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার সময় তিনি বাড়িতে ছিলেন না। এমনকি তাকে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কেউই জানায়নি। পরে সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন দেখেন তিনি। এ অবস্থায় শুক্রবার (৮ এপ্রিল) সকালে উঠে খামারে থাকা ৬০০ মুরগি মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন।
তার অভিযোগ, গরম সহ্য করতে না পেরেই মুরগিগুলোর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় তিনি বিকেলে সদর কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
বকেয়া বিল না থাকার পর সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার কারণ জানতে চাইলে রংপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর জেনারেল ম্যানেজার হারুন অর রশিদ বলেন, বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে। আমরা হেড অফিসের নির্দেশনা অনুযায়ী সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছি। তার নাম হিট লিস্টে রয়েছে। এছাড়া লেজার বুকেও তার নামে ২৪ হাজার টাকা বকেয়া রয়েছে।
এদিকে খামারি হাসানুরের অভিযোগটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কোতোয়ালি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজার রহমান। তিনি বলেন, বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় গরম সহ্য করতে না পেরে মুরগির মৃত্যুর জন্য যে অভিযোগটি দেওয়া হয়েছে, আমরা তা খতিয়ে দেখছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।
ফরহাদুজ্জামান ফারুক/আরএআর