নদীতে ময়লা-আবর্জনার স্তূপ, ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ

মাগুরার শালিখা উপজেলার কোলঘেঁষে বয়ে যাওয়া ফটকি নদীতে অবাধে ফেলা হচ্ছে ময়লা-আবর্জনা। এতে একদিকে দূষিত হচ্ছে নদী ও এর আশপাশের পরিবেশ, অন্যদিকে ভরাট হচ্ছে নদীর অংশ। এছাড়াও নদীর দুই পাড়ে রয়েছে অবৈধ নানা স্থাপনা। যে কারণে দিন দিন নদীপথ সরু হয়ে যাচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ফটকি নদীর পাশেই বাজার। বাজারে মাংস, মাছ, কাঁচা তরকারিসহ নানা ধরণের দোকান রয়েছে। ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে স্থানীয়রা প্রকাশ্যেই আবর্জনা ফেলছেন নদীতে। এসব আবর্জনার স্তূপ থেকে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। পথচারীরা ময়লার গন্ধে নাকে রুমাল দিয়ে যাতায়াত করছেন। এখানে বর্জ্য অপসারণের কোনো ব্যবস্থা নেই। ডাম্পিং স্টেশন না থাকায় পরিচ্ছন্নতা কর্মীরাও নদীতে ময়লা আবর্জনা ফেলছেন।
এছাড়া নদীর দুই পাড়ে গড়ে ওঠা এসব স্থাপনায় বসতবাড়ি যেমন রয়েছে, তেমন রয়েছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও। অনেকে বংশ পরম্পরায় নদীর জায়গা ভোগ দখল করে আসছেন।
স্থানীয়রা জানান, জবাই করা গরু-ছাগলসহ প্রাণির বর্জ্য থেকে শুরু করে কাঁচা বাজারের আবর্জনা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের আবর্জনা, পচা মাছসহ সব ধরণের আবর্জনা ফেলা হচ্ছে ফটকি নদীতে।
ফটকি নদীটি বাঁচাতে উপজেলার ‘ফটকি বাঁচাও, পরিবেশ বাঁচাও’ স্লোগানে আন্দোলন করে যাচ্ছেন স্থানীয়রা। আন্দোলনের অন্যতম সদস্য ইন্দ্রনীল বিশ্বাস বলেন, আমাদের টিমের ৬৫ জন সদস্য ফটকি নদীর অবৈধ দখলদারদের নদী বাঁচানোর জন্য বুঝিয়েছি। তাছাড়া সেখানে পাকা যেসব স্থাপনা ছিল সেগুলো স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে সরানো হয়েছে। বিভিন্ন মহলে জানানোয় দৃশ্যমান ময়লা সরানোর প্রতিশ্রুতি পেয়েছি। আমরা লোকজনদের সচেতন করে যাচ্ছি। নদী বাঁচলে পরিবেশ বাঁচবে। আর পরিবেশ বাঁচলে আমরা বাঁচব।
স্থানীয়রা বলেন, নদীর আবর্জনায় উৎকট গন্ধ ছড়াচ্ছে। কেউ চলাফেরা করতে পারে না। প্রশাসন যদি ব্যবস্থা নিতো তাহলে নদীও বাঁচত, আমরাও বাঁচতাম।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মোহাম্মদ বাতেন জানান, এসব আবর্জনা অপসারণের জন্য বাজার কমিটিকে দায়িত্ব দেওয়া হবে। এরপরও নদীতে ময়লা আবর্জনা ফেলা হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জালাল উদ্দিন হাককানী/আরএআর