সৈয়দপুরে বিমানের ফ্লাইট বাতিল, ভোগান্তিতে যাত্রীরা

নীলফামারীর সৈয়দপুর বিমানবন্দরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ঢাকাগামী একটি ফ্লাইটে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেওয়ায় তা বাতিল করা হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েন বিমানের ৭০ যাত্রী।
পরে রাত ১১টার দিকে ২৬ যাত্রীকে সৈয়দপুর শহরের একটি আবাসিক হোটেলে থাকার ব্যবস্থা করে কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার রাত ৮টা ৪৫ মিনিটে বিজি- ৪৯৬ ফ্লাইটটি সৈয়দপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশে উড্ডয়নের কথা ছিল।
রাজধানীর আদাবর এলাকার বাসিন্দা এম এম ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেডের মালিক প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান জানান, তিনি পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধায় বিজিবির একটি কনস্ট্রাকশনের কাজ করছেন। জরুরি প্রয়োজনে রাতে ঢাকায় ফিরতে বিমানে উঠেন। বিমানে সব যাত্রী উঠানোর পর যান্ত্রিক ত্রুটির কথা ঘোষণা দেওয়া হয়। প্রথমে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করতে বলা হলেও রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত বিমান কর্তৃপক্ষ কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। অপরদিকে এটি ছিল সৈয়দপুর থেকে বিমানের সর্বশেষ ফ্লাইট। তাই যাত্রীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারীর সোনাহাট স্থলবন্দরের আমদানি, রপ্তানিকারক ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট বন্যা এন্টারপ্রাইজের প্রোপ্রাইটর আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ চরম উদাসীনতার পরিচয় দিয়েছে। রাতে যাত্রীদের থাকা ও খাওয়ার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত দিতে অপারগতা প্রদর্শন করলে যাত্রীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে রাত ১১টার দিকে সৈয়দপুর শহরে ইকু হেরিটাইজ হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টে থাকার ব্যবস্থা করে এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ।
তিনি আরও বলেন, জরুরি প্রয়োজনে বিমানে যাতায়াত করেন যাত্রীরা। রাতে অন্য একটি ফ্লাইট দিয়ে যাত্রীদের ঢাকা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব ছিল। কিন্তু কর্তৃপক্ষ সেটা করেনি।
ইকু হেরিটাইজ হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টের জেনারেল ম্যানেজার মাসুদ রানা বলেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ বিমানের ২৬ জন যাত্রীর জন্য বুকিং দিয়েছে। রাত সাড়ে ১১টার দিকে ওইসব যাত্রী কক্ষে উঠেছেন। যাত্রীদের মধ্যে শিশু ও নারী রয়েছেন। এছাড়াও বিমানের পাইলটসহ ৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীও রয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সৈয়দপুর জেলা ম্যানেজার হারুন আর রশীদের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
শরিফুল ইসলাম/এসকেডি