পদ্মা সেতু আ.লীগ সরকারের দুর্নীতির মাইলফলক: সোহেল

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল বলেছেন, নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হলে পদ্মা সেতু আওয়ামী লীগ সরকারের দুর্নীতির একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে। দশ হাজার কোটি টাকা থেকে শুরু করে শেষ অবধি এই সেতুর নির্মাণ ব্যয় দাঁড়াবে ৫০ হাজার কোটি টাকা।
সরকারকে মহাচোর আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, চুরির দায়ে কেউ কেউ দুবাইয়ের আদালতে সপরিবারে হাজিরা দিতে যান। তাদের সময় ফুরিয়ে এসেছে। মাত্র আর কটা দিন। খুব শিগগিরই কেন্দ্র থেকে আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা হবে। রাজপথে থেকে অবৈধ-অনির্বাচিত নিশিরাতের সরকারকে মোকাবেলা করার জন্য দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে খুলনার সোনাডাঙ্গা থানার নবপল্লী কমিউনিটি সেন্টারে সদর ও সোনাডাঙ্গা থানার প্রাথমিক সদস্য ফরম বিতরণ ও তথ্য সংগ্রহ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
হাবিব উন নবী খান সোহেল বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান শুধু স্বাধীনতার ঘোষকই নন, রণাঙ্গণের বীর মুক্তিযোদ্ধাও।
মাত্র সাড়ে তিন বছরের শাসনামলে জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের এমন কোনো সেক্টর নেই যেখানে উন্নয়ন ও উৎপাদনের ছোঁয়া লাগাননি।
তিনি বলেন, তিনি ড্রইংরুম নির্ভর রাজনীতিকে জনগণের মাঝখানে নিয়ে গিয়েছিলেন, রাজনীতিবদিদের বাধ্য করেছিলেন জনতার কাতারে গিয়ে অবস্থান নিতে। জিয়াউর রহমানকে হত্যা করা গেলেও তার আদর্শকে হত্যা করা যায়নি দাবি করে কেন্দ্রীয় নেতা সোহেল বলেন, এত অত্যাচার, নির্যাতন, হামলা, মামলা, আদালত ও কারাগারে অসহনীয় দিনযাপন, খুন-গুম-অপহরণ, পুলিশী নির্যাতন ভীতি প্রদর্শন- তবুও একজন নেতাকর্মীকেও আদর্শচ্যুত করা সম্ভব হয়নি। রোজার মধ্যে তীব্র খরতাপ উপেক্ষা করে এখানে উপস্থিতি তার প্রমাণ করে।
বিএনপির দুয়ার সবার জন্য উন্মুক্ত জানিয়ে সোহেল বলেন, সবার দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে সদস্য ফরম পৌঁছে দিতে হবে। বয়স্ক, নিস্ক্রিয়, নীরব সমর্থক সবাইকে বিএনপির পতাকাতলে নিয়ে আসতে হবে।
বিএনপির ৩৫ লাখ নেতাকর্মী প্রতিনিয়ত আদালতে হাজিরা দিচ্ছেন জানিয়ে সোহেল বলেন, আমরা আদালতে যাই প্রতিহিংসার গায়েবী মামলায় হাজিরা দিতে। আর কেউ কেউ দুবাইয়ের আদালতে সপরিবারে হাজিরা দেন চুরি করার দায়ে। তাদের সময় ফুরিয়ে এসেছে।
সোনাডাঙ্গা থানা সাংগঠনিক কমিটির আহ্বায়ক কাজী মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন- মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম মনা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন- সদর থানা সাংগঠনিক কমিটির আহ্বায়ক আজিজুল হাসান দুলু। বিশেষ অতিথি ছিলেন- বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, নির্বাহী কমিটির সদস্য খান রবিউল ইসলাম রবি, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মো. তারিকুল ইসলাম জহির, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় নেতা নজরুল ইসলাম।
মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক বদরুল আনাম খান ও শেখ সাদীর সঞ্চালনায় এ সময় উপস্থিত ছিলেন- খান জুলফিকার আলী জুলু, মোল্লা খায়রুল ইসলাম, শের আলম সান্টু, আবুল কালাম জিয়া, শেখ তৈয়েবুর রহমান, মাহবুব হাসান পিয়ারু, চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, একরামুল হক হেলাল, হাফিজুর রহমান মনি, আশফাকুর রহমান কাকন, ওয়াহিদুর রহমান দীপু, বেগ তানভিরুল আযম, কে এম হুমায়ুন কবির, সৈয়দ সাজ্জাদ আহসান পরাগ, এহতেশামুল হক শাওন, একরামুল হক মিল্টন, তারিকুল ইসলাম, শেখ জামালউদ্দিন, মোল্লা ফরিদ আহমেদ, নাসির খান, মিজানুর রহমান মিলটন, শফিকুল ইসলাম শফি, মুজিবর রহমান, জেলা ছাত্রদল সভাপতি আব্দুল মান্নান মিস্ত্রি, মহানগর ছাত্রদল আহ্বায়ক ইসতিয়াক আহমেদ ইস্তি, সদস্য সচিব তাজিম বিশ্বাস, মহানগর মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কানিজ ফাতেমা আমিন প্রমুখ।
মোহাম্মদ মিলন/আরআই