তিন মাসেই ভেঙে গেল ২৫ লাখ টাকার সড়ক

ঢাকার ধামরাইয়ে ২৫ লাখ টাকার সড়ক তিন মাসের মধ্যেই ভেঙে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সামান্য বৃষ্টিতে সড়কের অর্ধেক ধসে পড়ায় ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে মানুষ। নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করায় সড়কের এমন অবস্থা হয়েছে বলে দাবি করেছেন এলাকাবাসী।
বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) দুপুরে ধামরাইয়ের কুশুরা ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের হরিদাসপুর গ্রামের সড়কটিতে গিয়ে দেখা যায়, সড়কের মাঝে বিটুমিন দিয়ে ঢালাই করা হয়েছে। বাকি দুই পাশে ইটের সলিং দেওয়া হয়েছে। বালুর ওপর দিয়ে এই ইট বসানো হয়েছে। সড়কটির পাশ দিয়ে দেওয়া হয়েছে বালুভর্তি বস্তা। গতকালের সামান্য বৃষ্টিতেই সড়কটি রূপ নিয়েছে বেহাল অবস্থায়।
এলাকাবাসী জানায়, সড়কের কাজ খুবই নিম্নমানের হয়েছে। সামান্য বৃষ্টিতেই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সামনে আসছে বর্ষাকাল। এই বর্ষাকালে সড়কটির কেমন অবস্থা হবে তা এখনই অনুমান করা যাচ্ছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তাদের মনগড়া কাজ করেছেন।
এ ব্যাপারে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রাইহান এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. মিঠু মিয়া বলেন, রাস্তা দিয়ে পানি নামার কারণে সড়কটির এমন অবস্থা হয়েছে। আমি লোক পাঠিয়েছি, আজকের মধ্যে ঠিক করে ফেলবে।
তিনি আরও বলেন, আমার এই কাজটাতে অনেক লোকসান হয়েছে। তারপরও আমি কাজটা করে দিতেছি। আমি ৩৮৩ মিটার কাজ করে ভ্যাট ট্যাক্স কেটে ২৫ লাখ পেয়েছি। এই কাজে আমার প্রায় ১০ লাখ টাকা লোকসান গেছে। তারপরও মানবতার খাতিরে কাজ কোনো সময় খারাপ করিনি। সব কিছুর দাম বেশি। ইঞ্জিনিয়ার ফোন করেছিলেন, এরপর লোক পাঠাইছি। আমার লোক গিয়ে আবার সেটআপ দিয়ে সড়কটি ঠিক করে দেবে।
কুশুরা ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের সদস্য আলমগীর হোসেন বলেন, সড়কটির নিচে বালু থাকায় পানিতে ভেঙে গেছে। আমি ঠিকাদারকে ফোন দিয়েছি। তিনি এসে ঠিক করে দেবেন। কাজটি মূলত আমার না। এটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান করেছে।
কুশুরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান বলেন, ওই নতুন সড়কটি নাকি? এখনও বিষয়টি জানি না। বিষয়টি জানার চেষ্টা করছি।
ধামরাই উপজেলা প্রকৌশলী আজিজুল হকের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন কেটে দেন।
মাহিদুল মাহিদ/এসপি