বন্ধুদের সঙ্গে সাঁতার প্রতিযোগিতায় নেমে প্রাণ গেল কলেজছাত্রের

পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী বন্ধুদের নিয়ে সাঁতার প্রতিযোগিতায় নেমেছিল দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র সীমান্ত কর্মকার। শুরুও হয় প্রতিযোগিতা। কিন্তু সব বন্ধু তীরে ফিরলেও ফিরছিলেন না সীমান্ত। অবশেষে দেড় ঘণ্টার রুদ্ধশ্বাস অভিযানে যখন সীমান্ত কর্মকারকে ডুবুরিরা তুলল, ততক্ষণে না ফেরার দেশে চলে গেছেন তিনি।
সরকারি ব্রজমোহন কলেজের কলা ভবনের সামনের পুকুরে এই দুর্ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিমুল করিম।
প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থী শামীম বলেন, আজ (২১ এপ্রিল) দুপুর ১টার দিকে সাঁতার প্রতিযোগিতা শুরু হয়। অন্যান্য দিনের মতো আমি পুকুরের পাড়ে বসে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছিলাম। দেখলাম ৬/৭ জন তরুণ এসে সাতার প্রতিযোগিতা শুরু করল। পুকুরের মাঝখানে যাওয়ার পরপরই অন্যান্য বন্ধুরা চিৎকার শুরু করে সীমান্ত ডুবে গেছে বলে।
এরপর আমরা চারপাশের সবাই ছুটে যাই। অনেকেই পুকুরে নেমে খুঁজতে থাকেন। ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হয়। তারা এসে সন্ধান চালিয়ে আড়াইটার দিকে সীমান্তকে উদ্ধার করে।
ফায়ার সার্ভিসকর্মী ফাইজুল হক বলেন, ডুবে যাওয়া তরুণকে উদ্ধার করে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সীমান্ত কর্মকার বরিশাল নগরীর শের-ই-বাংলা সড়কের অরুণ কর্মকারের ছেলে। তিনি সরকারি আলেকান্দা কলেজের উচ্চ মাধ্যমিকের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।
শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক দেলোয়ার হোসেন জানান, সীমান্ত নামে ওই রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।
সৈয়দ মেহেদী হাসান/আরআই