বিসিসির কর্মচারী ও কাউন্সিলরের পাল্টাপাল্টি সড়ক অবরোধ

বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) কর্মচারী ও ২০ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের পাল্টাপাল্টি সড়ক অবরোধে ভোগান্তিতে পড়েছে নগরবাসী। রোববার (২৪ এপ্রিল) বিকেল ৩টার দিকে অবরোধ কর্মসূচি শুরু করে দুই সড়কে দুই পক্ষ অবস্থান নেয়।
কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) লোকমান হোসেন বলেন, সিটি করপোরেশনের কর্মচারীরা সড়ক অবরোধ করলেও কিছুক্ষণ পরে তারা চলে গেছেন। বর্তমানে বিএম কলেজ সড়কে কোনো অবরোধ নেই। কাউন্সিলর জিয়াউর রহমান বিপ্লব কিছু লোকজন নিয়ে কুয়াকাটা-বরিশাল-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করে রেখেছিলেন। আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা বিকেল ৫টার দিকে সড়ক ছেড়ে দিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বিকেল ৩টার দিকে সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা ২০ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জিয়াউর রহমান বিপ্লবের কার্যালয় ঘেরাও করে। এ সময় তারা ময়লার ট্রাক সড়কে আড়াআড়ি রেখে সড়কে বসে অবরোধ শুরু করেন। তারা কাউন্সিলরের বিচারের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন। এতে সদর রোড ও নথুল্লাবাদ সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে প্রচণ্ড যানজটের সৃষ্টি হয়।

সিটি করপোরেশনের ২০ নং ওয়ার্ডের রোড ইন্সপেক্টর রাজীব হোসেন খান বলেন, একটি ভবনের প্ল্যান চেক করতে যাওয়ার পর কাউন্সিলর বিপ্লব আমাকে ফোন দিয়ে নানা কথা বলে হোসাইনিয়া মাদ্রাসায় ডেকে নেন। এরপর আটকে রেখে আমাকে মারধর করেন। খবর পেয়ে অন্যান্য স্টাফরা এসে আমাকে উদ্ধার করেন। বিক্ষুদ্ধ স্টাফরা এরপর কাউন্সিলর বিপ্লবের বিচার দাবিতে বিক্ষোভ করেন।
এদিকে সিটি করপোরেশনের কর্মচারীরা বিএম কলেজ রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করলে বিকেল ৪টার দিকে লোকজন নিয়ে কুয়াকাটা-বরিশাল-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করেন ওয়ার্ড কাউন্সিলর জিয়াউর রহমান বিপ্লব। তিনি মহাসড়কে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন এবং টায়ারে আগুন জালিয়ে বিক্ষোভ করেন। বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত সড়ক অবরোধ করে রাখেন তিনি।
জিয়াউর রহমান বিপ্লব বলেন, সিটি করপোরেশনের কিছু অসাধু কর্মচারী আমার কার্যালয় অবরোধ করে রাখেন। তারা আমার এলাকায় এসে বিভিন্ন সময় চাঁদাবাজি করে। সিটি করপোরেশনের কর্মচারীদের চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করেছি বলেই তারা আমার কার্যালয় ঘেরাও করে।
তিনি বলেন, সিটি করপোরেশনের কর্মচারীদেরও কোনো দোষ নেই, তাদের পেছনে ইন্ধন দেওয়ার জন্য একজন রয়েছেন। এ ধরনের অপদার্থ লোকের হাত থেকে বরিশালবাসী মুক্তি চায়।
সৈয়দ মেহেদী হাসান/আরএআর