পাটুরিয়া লঞ্চঘাটে বাড়ছে ঘরমুখী যাত্রীর চাপ

মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে যাত্রীবাহী লঞ্চে ঘরমুখী যাত্রীর সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে। লঞ্চঘাট দিয়ে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যাত্রীরা পদ্মা নদী পার হচ্ছেন।
প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে রাজধানীসহ আশপাশের এলাকা থেকে এসব যাত্রী বাসে করে পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় আসছেন। লঞ্চঘাট এলাকায় ঘরমুখী যাত্রীর তেমন চাপ না থাকায় যাত্রীরা টিকিট নিয়ে ভোগান্তি ছাড়াই লঞ্চে ওঠে নদী পার হয়ে গন্তব্যে চলে যাচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) বিকেল ৩টার দিকে পাটুরিয়া লঞ্চঘাট এলাকায় সরেজমিনে এমন চিত্র দেখা গেছে। ঘরমুখী যাত্রীদের বাসচালকরা লঞ্চঘাট থেকে প্রায় এক কিলোমিটার আগেই নামিয়ে দিচ্ছে। এরপর সেখান থেকে এসব যাত্রীরা পায়ে হেঁটে লঞ্চঘাটে আসছেন। আবার কেউ কেউ ফেরিতে করেও পদ্মা পার হচ্ছেন।
পাটুরিয়া লঞ্চঘাট সূত্রে জানা গেছে, প্রতিবছর ঈদের সময় লঞ্চঘাট এলাকায় ঘরমুখী যাত্রীর চাপ বেড়ে যায়। ঈদযাত্রায় এসব ঘরমুখী মানুষকে নিরাপদে পদ্মা পার করতে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ২১টি যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল করছে। এছাড়া আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে চলছে ১২টি লঞ্চ। ঈদযাত্রায় কোনো ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা বৈরী আবহাওয়া না থাকলে দিনের বেলায় নিরাপদে ঘরমুখী এসব যাত্রী পারাপার করা যাবে। তবে লঞ্চঘাট এলাকায় যাত্রীর চাপ বেড়ে গেলে কিছুটা ভোগান্তি হতে পারে বলে ধারণা করছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

লঞ্চঘাট এলাকায় আলাপকালে রিপন মিয়া নামে যাত্রী বলেন, প্রতি বছরই ঈদের সময় এই ঘাটে যাত্রীর ভিড় থাকে। এবার ভোগান্তি এড়াতে আগেই পরিবার নিয়ে বাড়ি যাচ্ছি। লঞ্চে যাত্রীর সংখ্যা বাড়লেও ভোগান্তি নেই। ঘাটে আসা মাত্রই টিকিট নিয়ে লঞ্চে ওঠতে পারছি। তবে ঘাট এলাকায় প্রচণ্ড গরম।
শিরিন আক্তার নামে আরেক যাত্রী বলেন, পরিবার নিয়া যাত্রাবাড়ি থাকি। সেখানে ফুটপাতে দোকান করি। আমরা তো আয়-রোজগার কম, তাই আগেই বাড়ি যাইতাছি। কাল থেকে বাসের যাত্রীর চাপ বাড়বে, আবার ভাড়াও বেশি দিতে হবে। এজন্য আগেভাগেই গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছি। ভোগান্তি ছাড়াই লঞ্চে করে নদী পার হতে পারছি।
পাটুরিয়া লঞ্চঘাটের সুপারভাইজার পান্না নন্দি লাল বলেন, দুপুরের পর থেকে লঞ্চের যাত্রী কিছুটা বেড়েছে। পাটুরিয়ায় ২১টি লঞ্চ দিয়ে যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে। প্রত্যেক যাত্রীর টিকিট ৩৫ টাকা করে রাখা হচ্ছে। এর মধ্যে টার্মিনাল চার্জ ৫ টাকা।
তিনি আরও বলেন, নির্দিষ্ট পরিমাণ যাত্রী নিয়েই প্রতিটি লঞ্চ ঘাট ছেড়ে যাচ্ছে। নৌপথে দুর্ঘটনা এড়াতে লঞ্চের মাস্টারদের সতর্কভাবে লঞ্চ চালানোর জন্য বলা হয়েছে। এছাড়াও প্রতিটি লঞ্চে লাইফ জ্যাকেট ও অগ্নিনির্বাপণের ব্যবস্থা রয়েছে।
সোহেল হোসেন/আরএআর