বরিশাল নদীবন্দরে নামলেই বিসিসির ২০ বাসের ফ্রি সার্ভিস

ঈদে ঘরমুখী মানুষের নিরাপত্তায় বরিশাল নদী বন্দরে নতুন করে ২৯টি ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা স্থাপন করেছে বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি)। এ ছাড়া প্রথম দিন ২০টি বাসে যাত্রীদের লঞ্চঘাট থেকে নগরীর দুটি বাস টার্মিনালে বিনামূল্যে পৌঁছে দিচ্ছে।
বিসিসি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ নৌবন্দরে উপস্থিত থেকে যাত্রীসেবা তদারক করছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বিসিসির প্রশাসনিক কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাস জানিয়েছেন, গত বছরের মতো এবারও মেয়র মহোদয় রাত জেগে নদীবন্দরে যাত্রীসেবা দিচ্ছেন।
তিনি আরও জানান, লঞ্চ থেকে যাত্রীরা ঘাটে নেমে যেন কোনো হয়রানির শিকার না হন এবং সহজেই যেন তারা গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেন, সে জন্য ফ্রি বাস সার্ভিস চালু করা হয়েছে। পুরো এলাকা সিসি ক্যামেরায় মনিটরিং করা হচ্ছে। এ ছাড়া মাইকে ও নদীবন্দর এলাকায় নগরীর যানবাহন চলাচলের নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, লঞ্চঘাট এলাকার সামনের সড়কের কিছু অংশ বন্ধ রাখা হয়েছে যাত্রীদের চলাচলের জন্য। এ ছাড়া ভাটারখালের মুখে থেকে রূপাতলীগামী ও নগরভবন-সংলগ্ন থেকে নথুল্লাবাদগামী ফ্রি বাস সার্ভিস ছেড়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি দূরপাল্লার জন্য ছোট ও অন্যান্য পরিবহনের জন্য স্থান নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।
নদীবন্দরে যাত্রীদের বিশ্রামের স্থান, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কন্ট্রোল রুম, মেডিকেল ক্যাম্প, কোভিড-১৯ বুস্টার ডোজ প্রদান কেন্দ্র, হুইলচেয়ার সেবা, লাইফ সাপোর্টসম্পন্ন অত্যাধুনিক অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখা হয়েছে। কয়েক স্তরের নিরাপত্তা বলয়ে কাজ করছেন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

মেট্রাপলিটন পুলিশের উপকমিশনার খান মোহাম্মদ আবু নাসের বলেন, মেট্রোপলিটন পুলিশ বরাবরের মতো এবারও যাত্রীসেবা নির্বিঘ্ন করতে কাজ করছে। নদীবন্দর এলাকায় সব স্তরের কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালন করছেন। আমরা যাত্রীদের নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছে দিতে কাজ করছি।
বরিশাল নদীবন্দর কর্মকর্তা ও বিআইডব্লিউটিএর যুগ্ম পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, যাত্রীদের নিরাপত্তায় নদীবন্দর এলাকায় ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। প্রথম দিন ঢাকা-বরিশাল রুটের মোট ১১টি লঞ্চ আসার শিডিউল রয়েছে। এ ছাড়া ভায়া লঞ্চ মিলিয়ে সেটা আরও বেশি। বিআইডব্লিউটিএর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নদীবন্দরে নিরবচ্ছিন্ন যাত্রীসেবা নিশ্চিতে কাজ করছেন। এখন পর্যন্ত যাত্রীরা স্বাচ্ছন্দ্যে নদীবন্দর ত্যাগ করছে।
এই কর্মকর্তা আরও বলেন, প্রথম দিন তুলনামূলক যাত্রীর চাপ কম। দিন দিন এই চাপ আরও বাড়বে। তবে সব ধরনের প্রস্তুতি আমরা নিয়েছি। তিনি জানান, স্পেশাল সার্ভিসে মোট ২৮টি নৌযান যাত্রী পরিবহন করবে। নৌযান-মালিকদের সতর্ক করা হয়েছে যেন তারা অতিরিক্ত যাত্রী বহন না করেন। প্রয়োজনে ডাবল ট্রিপ দেবে নৌযানগুলো।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) থেকে নৌরুটে স্পেশাল সার্ভিস শুরু হয়েছে।
সৈয়দ মেহেদী হাসান/এনএ