বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে কোপালেন গৃহকর্মীর মেয়ে

রাজশাহী নগরীতে ফারজানা তাসনিম সিমরান (২০) নামে এক বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে বটি দিয়ে কুপিয়ে জখম করেছেন তাদেরই বাসার গৃহকর্মীর মেয়ে। শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরের দিকে নগরীর টিকাপাড়া এলাকার নিজ বাড়িতে বটির কোপে মারাত্মকভাবে আহত হন সিমরান। বর্তমানে তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ৩নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন।
আহত সিমরান শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাগ্রিবিজনেস বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি টিকাপাড়া এলাকার মৃত আলতাফ হোসেনের মেয়ে।
এই ঘটনায় এলাকাবাসী ঝর্ণা খাতুন (২৩) নামে এক তরুণীকে ধরে পুলিশে দিয়েছে। ঝর্ণা টিকাপাড়া মিরেরচক এলাকার বাসিন্দা। তার মা জরিনা বেগম ভুক্তভোগীর বাড়ির গৃহকর্মী।
এই ঘটনায় শনিবার রাতে নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানায় মামলা করেছেন হামলার শিকার সিমরানের মা ফরিদা ইয়াসমিন। ওই মামলায় রোববার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরের পর গ্রেফতার দেখিয়ে ঝর্ণাকে আদালতে তুলেছে পুলিশ।
আহত সিমরানের মা ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, দুপুরের দিকে গৃহকর্মীর মেয়ে ঝর্ণা তাদের বাড়িতে আসে। ওই সময় সিমরান তার বান্ধবীর সঙ্গে দেখা করার উদ্দেশ্যে বাড়ির বাইরে বের হচ্ছিল। দরজার তালা খুলে বের হওয়ার সময় ঝর্ণা সিমরানের চুল ধরে জোরে টান দেয়। পরে বটি দিয়ে বুকের বাম পাশে সজোরে আঘাত করে। এতে রক্তাক্ত জখম হয়ে সিমরান পড়ে যায়। দরজা খুলে পালানোর সময় স্থানীয়রা হামলাকারী ঝর্ণাকে পাকড়াও করে।
নগরীর বোয়ালিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিবারন চন্দ্র বর্মন বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার ঝর্ণা জানিয়েছেন- তিনি চুরির উদ্দেশ্যে ওই বাড়িতে প্রবেশ করেছিলেন। কিন্তু দেখে ফেলায় গৃহকর্তার মেয়েকে বটির কোপ দেন। পরে পালানোর সময় তাকে পাকড়াও করে এলাকাবাসী। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাকে হেফাজতে নেয়। এ সময় তার সঙ্গে থাকা ভ্যানিটিব্যাগ থেকে বটি ও চাপাতি উদ্ধার করা হয়।
দুপুরের পর গ্রেফতার ঝর্ণাকে আদালতে তোলা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার সাতদিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে বলেও জানান ওসি।
আরএআর