সরকারের প্রথম টার্গেট জিয়া পরিবার : শামা ওবায়েদ
বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ বলেছেন, ক্যাসিনো সম্রাটকে জামিন দেওয়া হয়েছে। কিন্তু জনগণের ভোটে বারবার নির্বাচিত দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া নিজের চিকিৎসা করাতে পারছেন না। তাকে ঘরে বন্দি করে রাখা হয়েছে। জনগণ কি বোঝে না? বোঝে, সব বোঝে। কিন্তু তারা এখন গুলির কাছে জিম্মি। আমাদের ৩৫ লাখ নেতাকর্মীর নামে মামলা দেওয়া হয়েছে।
সারাদেশে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা ও মামলার প্রতিবাদে শনিবার (১৪ মে) দুপুরে শরীয়তপুর শহরের আংগারিয়ায় বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শামা ওবায়েদ বলেন, সাদা পোশাকে পুলিশ এসে ধরে নিয়ে যাওয়ার পর লাশ উদ্ধার হচ্ছে। বিচার বহির্ভূত হত্যা ৭ হাজারের ওপরে। সামনে ২০২৩ সালের নির্বাচনকে সামনের রেখে তারেক রহমান যখন ঘোষণা দিয়েছেন কোনো দলের অধীনে নির্বাচনে যাবেন না, ঠিক তখনই আমাদের সিনিয়র নেতাদের বাড়িতে হামলা করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, দেশের স্বৈরাচার পতন আন্দোলন ও মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনার আন্দোলনে প্রথম সারিতে ছিলেন বেগম খালেদা জিয়া। এই সরকারের প্রথম টার্গেট জিয়া পরিবার। তারা জানে যদি জিয়া পরিবারকে ধ্বংস করা যায়, তাহলে দেশের স্বাধীনতা খর্ব করা যাবে।
দলের মধ্যে দ্বন্দ্ব নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে শামা ওবায়েদ বলেন, দল ক্ষমতায় নেই। নেত্রী জেলে, তারেক রহমান দেশে আসতে পারেন না, আমাদের হাজার হাজার নেতাকর্মী হামলা মামলায় জর্জরিত। তাতেও আপনাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হচ্ছে। ভাগ করে সংগঠন করেন। এতে কী হবে? দল একটা, নেতা একজন, এরপরও আপনারা বিভক্ত করেন। আপনারা এক হন। দেশকে রক্ষা করতে, দেশের মানুষকে রক্ষা করতে এক হয়ে নামেন। যতই নির্যাতন হোক না কেন আমরা অধিকার আদায় করে ছাড়ব।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সরদার একেএম নাছির উদ্দিন কালুর সভাপতিত্বে সমাবেশে বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ আহাম্মেদ আসলাম, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি সিরাজুল হক মোল্লা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সৈয়দ মেহেদী হসান/আরএআর