‘শেখ হাসিনা আমাদের বাঁচিয়েছেন’
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, শেখ হাসিনা না এলে আমাদের ভঙ্গুর অর্থনীতির দেশ হতে হতো। সেখান থেকে শেখ হাসিনা আমাদের বাঁচিয়েছেন। শেখ হাসিনা দেশে ফিরেছিলেন বলেই বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের শিখরে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের জনসমাবেশে বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন সিটি মেয়র। মঙ্গলবার (১৭ জুন) বিকেলে নগরীর বাটার মোড়ে এ জনসমাবেশের আয়োজন করে মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগ।
খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের স্বাধীনতা দিয়েছেন। আর শেখ হাসিনা দেশ গড়ছেন। বাংলাদেশ এখন সুন্দর সমৃদ্ধ-উন্নত দেশ। উন্নয়নের শিখরে পৌঁছে গেছে বাংলাদেশ। আমরা আরো অনেক দূর যেতে চাই। যিনি আমাদের উন্নয়ন দিচ্ছেন, আমাদের তার সঙ্গেই থাকতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আরো অনেক দূর এগিয়ে যাবে।
তিনি বলেন, ১৯৮১ সালের ১৭ মে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা দীর্ঘ ছয় বছরের বাধ্যতামূলক প্রবাস জীবন শেষে বঙ্গবন্ধুবিহীন এই বাংলাদেশে পা রেখেছিলেন। দেশে ফিরে আসার পথে বিমানে বাবা-মা, ছোট ভাই শেখ রাসেল ও বাংলাদেশের কথা চিন্তা করে বারবার কেঁদেছিলেন তিনি। সেদিন বিমানবন্দরে লাখ লাখ মানুষ জড়ো হয়েছিল। বিমানবন্দর থেকে মানিক মিয়া এভিনিউতে যেতে সময় লেগেছিল প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা। পথে পথে লাখ লাখ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী বৃষ্টিতে সিক্ত হয়েও দাঁড়িয়ে ছিল শেখ হাসিনাকে এক নজর দেখার জন্যে। তারা স্লোগান দিয়েছিল, ‘শেখ হাসিনা ভয় নাই, আমরা আছি লক্ষ ভাই, শেখ হাসিনা ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই।’
শেখ হাসিনার এ দেশে গণতন্ত্রের পথে যাত্রা সুখকর ছিল না— উল্লেখ করে মেয়র লিটন বলেন, তিনি নানা আন্দোলন-সংগ্রাম করেছেন। তিনি গ্রামে-গঞ্জে তৃণমূলে গেছেন, বঙ্গবন্ধুর পরে একমাত্র তিনিই জানেন তার আওয়ামী লীগের কর্মীরা দেশের কোথায় কারা আছে। দেশকে এগিয়ে নিতে শেখ হাসিনা এ দেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার হাতেই দেশের মানুষ নিরাপদ। আওয়ামী লীগ সরকার কখনো ব্যর্থ হয়নি। খালেদা জিয়া ব্যর্থ হয়েছে বারবার। জিয়াউর রহমান ক্ষমতা দখল করে কয়েক বছর কারফিউ দিয়ে দেশকে অচল করেছিল।
মেয়র লিটন আরো বলেন, ১৯৭৫ সাল পরবর্তী বাংলাদেশের অবস্থা আমরা ভুলিনি। জিয়াউর রহমান মৌলবাদীদের রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছিলেন। সেই ইতিহাস আমরা ভুলিনি। বাংলাদেশকে পাকিস্তানে পরিণত করতে যা যা করার দরকার সব করেছিলেন জিয়াউর রহমান। সেই ইতিহাস ভুললে চলবে না।
নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামালের সভাপতিত্বে জনসমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন।
এতে সম্মানিত অতিথি ছিলেন-রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনের সংসদ সদস্য ডা. মনসুর রহমান ও সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি আদিবা আঞ্জুম মিতা।
বিশেষ অতিথি ছিলেন— জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অনিল কুমার সরকার, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ দারা, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ডাবলু সরকার। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য বেগম আখতার জাহান।
এসএসএইচ