১১ বছরের শিশুটির কর্মজীবনের ৩ বছরই কেটেছে নির্যাতনে

লিপি খাতুনের বয়স সবে ১১। এরইমধ্যে সংসারে সাহায্য করতে তাকে গৃহকর্মীর কাজ নিতে হয়েছে। তবে সেখানে তিন বছর ধরে নির্যাতনের শিকার হয়েছে লিপি।
জোর করে তাকে দিয়ে বড়দের কাজ করানো হতো। কিন্তু তারপরও নির্যাতন থেকে বাঁচতে পারেনি সে। তিন বছর ধরে নীরবে নির্যাতন সইতে হয়েছে ১১ বছরের এ শিশুটিকে।
অবশেষে স্থানীয়দের দেওয়া তথ্যে অসহায় এ শিশুটিকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন সিরাজগঞ্জ সদর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) সুমন কুমার দাস।
শুক্রবার বিকেলে সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার সয়াধানগড়া মধ্যপাড়া মহল্লার ব্যাংকার আলী আজাহারের বাসা থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় তার ছেলের স্ত্রী নির্যাতনকারী জুথি খাতুনকে আটক করে পুলিশ। তার স্বামীর নাম তারেক গোলাম।
স্থানীয়রা জানান, আলি আজাহারের বাড়িতে তিন বছর ধরে কাজ করতো লিপি। তিন বছর ধরেই জুথি তার ওপর নির্যাতন চালিয়েছে। সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহত অবস্থায় শিশুটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিশ। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
লিপি জানায়, তাকে বিভিন্ন সময়ে লাঠি, তরকারির চামচ দিয়ে এবং গরম ইস্ত্রি দিয়ে ছ্যাঁকা দেওয়া হতো। এছাড়া চড়-থাপ্পর আর কিল ঘুষি সবসময়ই চলত।
পাশে আরকেটি বাড়িতে কাজ করে ওই শিশুটির বড় বোন মোহসিনা সুমি। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, কয়েকদিন আগে আমার বোনকে টয়লেটে আটকে রেখে নির্যাতন করে। আমি পাশের বাড়িতে কাজ করলেও আমার সঙ্গে দেখা করতে দিত না। আমি কখনো দেখা করতে গেলে ভেতরে ঢুকতে দিত না।
সিরাজগঞ্জ সদর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) সুমন কুমার দাস ঢাকা পোস্টকে জানান, এলাকাবাসীর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে নির্যাতনের শিকার শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাকে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তার শরীরে নির্যাতনের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
এনএফ