কুষ্টিয়ায় কলেজশিক্ষকের হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন করল প্রতিপক্ষ
কুষ্টিয়ায় পূর্বশত্রুতার জের ধরে কলেজশিক্ষকের এক হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন করেছে প্রতিপক্ষ। মঙ্গলবার (৩১ মে) বেলা ২টার দিকে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার জিয়ারখী ইউনিয়নের বংশীতলা নতুন সেতুর ওপর এ ঘটনা ঘটে।
আহত কলেজশিক্ষক তোফাজ্জেল বিশ্বাস (৫২) কুমারখালী উপজেলার বাঁশগ্রাম আলাউদ্দিন আহম্মেদ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক। তিনি কুমারখালী বাগুলাট ইউনিয়নের শালঘর মধুয়া এলাকার জালা বিশ্বাসের ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমারখালী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার।
আলাউদ্দিন আহম্মেদ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক আলী হোসেন বলেন, কলেজ থেকে শহরে ফেরার পথে পূর্বপরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে ২০ থেকে ২৫ জন তোফাজ্জেল বিশ্বাসের ওপর হামলা চালায়। কিন্তু কী কারণে তার ওপর এ হামলা করা হয়েছে, তা আমরা এখন পর্যন্ত জানতে পারিনি।
কলেজের অধ্যক্ষ হামিদুল ইসলাম বলেন, সহকারী অধ্যাপক তোফাজ্জেল বিশ্বাসকে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। তিনি এখন কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। কী কারণে কে বা কারা তাকে আক্রমণ করেছে, তা এখন পর্যন্ত জানা সম্ভব হয়নি।
কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) আশরাফুল আলম বলেন, হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসকরা তাকে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন।
ওসি কামরুজ্জামান তালুকদার ঢাকা পোস্টকে বলেন, পূর্ববিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাব্বিরুল আলম ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আমাদের পাশাপাশি বিষয়টি কুমারখালী থানা পুলিশ দেখছে। তবে আমরা জানতে পেরেছি পূর্বশত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় কলেজ শিক্ষকের ডান হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
রাজু আহমেদ/এনএ
