হামলাকারীরা একরাম-নিজাম হাজারীর লোক : কাদের মির্জা

নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেছেন, কোম্পানীগঞ্জে আমার নেতাকর্মীদের ওপর হামলাকারীরা এমপি একরামুল করিম চৌধুরী ও ফেনীর নিজাম উদ্দিন হাজারীর লোক।
তিনি বলেছেন, কোম্পানীগঞ্জে কোনো মায়ের বুক যদি খালি হয়, তার দায় সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, আওয়ামী লীগ নেতা সাহাব উদ্দিন এবং প্রশাসনকে নিতে হবে। একই সঙ্গে এ হামলার দায় নিতে হবে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলকে।
শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেল পৌনে ৫টার দিকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চাপরাশিরহাট ইউনিয়নের ফকিরা বাজারে আওয়ামী লীগের সংঘর্ষের পর এসব কথা বলেন মেয়র আবদুল কাদের মির্জা।
এর আগে বিকেল পৌনে ৫টার দিকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চাপরাশিরহাট ইউনিয়নের ফকিরা বাজারে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের সামনে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে লাঠিচার্জ, ফাঁকা গুলি ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পুলিশ। আহতদের মধ্যে ২০ জনকে বসুরহাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
স্থানীয় সূত্র জানায়, নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় গোলাগুলি হয়। এতে স্থানীয় সংবাদকর্মী গুলিবিদ্ধসহ উভয়পক্ষের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হন।
বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ঢাকা পোস্টকে বলেন, কোম্পানীগঞ্জে যদি কোনো মায়ের বুক যদি খালি হয়, এর দায় সেুতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, আওয়ামী লীগ নেতা সাহাব উদ্দিন এবং প্রশাসনকে নিতে হবে। তাদের বিচার করতে হবে।
তবে হামলার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমার ওপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়েছে। আমার অনেক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। মেয়র আবদুল কাদের মির্জা সমর্থিত চরফকিরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন লিটনের নেতৃত্বে এ হামলা চালানো হয়। এ হামলার দায় তাদের নিতে হবে।
হাসিব আল আমিন/এএম