দর্শনার্থী টানছে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি চত্বর

প্রকৃতিতে এখন বসন্তের আমেজ। গাছে গাছে কচি পাতা। পাখির কিচিরমিচির আর কলকাকলিতে মুখরিত চারপাশ। শীতের তীব্রতা কিছুটা কমলেও কুয়াশার চাদরে ঢেকে আছে সবকিছু। এরই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাহারি ফুলে সেজেছে মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি চত্বর। রঙিন সব ফুলের আগমন যেন বসন্তের রং রূপ ঢেলে দিয়েছে চত্বরটিতে।
তাইতো চত্বরের প্রাকৃতিক শোভা টেনে আনছে উপজেলার বিভিন্ন বয়সী দর্শনার্থীদের। প্রতিদিন দর্শনার্থীরা ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য বার বার ছুটে আসছেন এই চত্বরে।
সরেজমিনে দেখা যায়, চত্বরের চারটি অংশজুড়ে রয়েছে সবুজ ঘাসের গালিচা। প্রতি অংশের মাঝে ফুটেছে স্যালভিয়াসহ লাল রঙের নানা ফুল। জিনিয়া, ডালিয়া, গাঁদা, জারাজিনিয়াসহ বাহারি ফুলের সমারোহ। ফুলে ফুলে ঘুরে বেড়াচ্ছে মৌমাছি, প্রজাপতি। এর সঙ্গে দৃষ্টি কাড়ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল এবং পানির ফুয়ারা।
চত্বরে ঘুরতে আসা ইরানী নামে এক দর্শনার্থী বলেন, মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি চত্বরের ফুল যে কাউকেই বিমোহিত করবে। ছেলে মেয়ে নিয়ে এসেছি। ভীষণ ভালো লাগছে।
রহমত উল্লাহ বলেন, উপজেলার মধ্যে এই জায়গাটি খুব ভালো লাগে। মাঝে মাঝে আসি, ছবিও তুলি।
ইরানী, রহমত উল্লাহর মতো চত্বরের সৌন্দর্য উপভোগ করতে সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবীসহ উপজেলা পরিষদে বিভিন্ন কাজে আসা নানা শ্রেণি পেশার মানুষ এখানে আসেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার রামানন্দ পাল বলেন, আমার এবং উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের নিজস্ব অর্থায়নে জাতীয় পতাকার আদলে বিভিন্ন জাতের ফুল দিয়ে চত্বরটি সাজানো হয়েছে। এই চত্বরের সৌন্দর্য দেখতে প্রতিদিনই বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ আসেন। তাদেরও ভালো লাগে। আমাদেরও ভালো লাগে।
জালাল উদ্দিন হাককানী/এসপি