স্বাভাবিক উচ্চতায় ফিরেছে দক্ষিণাঞ্চলের নদীর পানি

বরিশাল বিভাগের প্রধানতম ৯টি নদীর মধ্যে ৮টি নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে নেমে গেছে। পূর্ণিমার জোয়ার ও উজানের চাপ কমে যাওয়ায় স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে ফিরছে নদীগুলো। তবে টানা তিন দিনের ভারী বর্ষণে বিপর্যস্ত হয়েছে মানুষের স্বাভাবিক জীবন।
মঙ্গলবার (২১ জুন) থেকে বৃষ্টিপাত কমে যাওয়ার পূর্বাভাস রয়েছে। এ ছাড়া দক্ষিণাঞ্চলে বন্যার কোনো পূর্বাভাস নেই বলে জানিয়েছেন বরিশাল বিভাগীয় আবহাওয়া অধিদপ্তরের উচ্চ পর্যবেক্ষক মাসুদ রানা রুবেল।
তিনি বলেন, বিগত ২৪ ঘণ্টায় ১১ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। তাছাড়া বাতাসের গতিবেগ ও আদ্রতা ছিল স্বাভাবিক।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গোপসাগরে মৌসুমী বায়ু সক্রিয় ও সঞ্চালনশীল মেঘমালা রয়েছে। এ কারণে মৃদু বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এই আবহাওয়া প্রতি বছর একই প্রকৃতির হয়। তবে দক্ষিণাঞ্চলে নদ-নদীর গভীরতা ও ব্যাস বড় থাকায় বন্যার সম্ভাবনা নেই। এই অঞ্চলের মানুষ আমরা ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলা করি।
এদিকে বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের জলানুসন্ধান বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. মাসুম জানিয়েছেন, বরিশাল বিভাগের ৯টি নদীর মধ্যে ৮টি নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে স্বাভাবিক উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছে। কেবলমাত্র বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার বিশখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এই কর্মকর্তা বলেন, এক দিন আগেও দক্ষিণাঞ্চলের চারটি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে এবং ৫টি নদী বিপৎসীমা স্পর্শ করে প্রবাহিত হচ্ছিল। তবে তা ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে কমে গেছে। সাধারণত বর্ষা মৌসুমে পানির এমন উচ্চতা স্বাভাবিক বলা চলে।
সৈয়দ মেহেদী হাসান/আরআই