লক্ষ্মীপুরে বন্ধুকে হত্যার দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন
লক্ষ্মীপুরে বন্ধুকে হত্যার দায়ে মো. বাহার নামে এক যুবকের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে, আরও ১ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। সোমবার (২৭ জুন) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন।
লক্ষ্মীপুর জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জসিম উদ্দিন বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আসামি বাহার পলাতক। রায়ের সময় তিনি উপস্থিত ছিলেন না।
দণ্ডপ্রাপ্ত বাহার সদর উপজেলার হাজিরপাড়া ইউনিয়নের বড়বল্লভপুর গ্রামের জয়নাল আবেদিন খন্দকারের ছেলে।
আদালত সূত্র জানায়, হত্যা মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত বাহার মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। বাহার ও ভিকটিম আবদুর রব রাসেল বন্ধু ছিলেন। রাসেলের বিদেশ যাওয়ার কথা ছিল। এ কারণে ২০১৫ সালের ১৯ জানুয়ারি রাতে বাড়ি থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা নিয়ে পাশের চরমোহাম্মদপুর গ্রামে শ্বশুর বাড়ির উদ্দেশে হেঁটেই রওয়ানা দেন।
পথিমধ্যে বসুদহিতা গ্রামে পৌঁছালে বাহার পেছন থেকে লোহার চার্জার লাইট দিয়ে তার মাথায় আঘাত করেন। এতে রাসেল অচেতন হয়ে পড়লে তাকে মৃত ভেবে টাকা নিয়ে পালিয়ে যান বাহার। পরদিন সকালে তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল ও পরে ঢাকায় হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
প্রায় ২ মাস সেখানে চিকিৎসাধীন থাকার পর অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকদের পরামর্শে ২৫ মার্চ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে বাহার মারা যান।
এ ঘটনায় ৩০ জানুয়ারি বাহারের মা আমেনা বেগমের করা লিখিত অভিযোগটি পরবর্তীতে হত্যা মামলায় রুজু হয়। তদন্ত শেষে ওই মামলায় বাহারের বিরুদ্ধে তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক পুষ্প বরণ চাকমা ২০১৬ সালের ২২ আগস্ট আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। ১৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ ও দীর্ঘ শুানানি শেষে আদালত বাহারের অনুপস্থিতিতে এ রায় দেন।
হাসান মাহমুদ শাকিল/আরআই
