সিলেটে ৪৮ ঘণ্টার অটোরিকশা ধর্মঘট চলছে

সিলেটে পাঁচ দফা দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার সিএনজিচালিত অটোরিকশার ধর্মঘট চলছে। ধর্মঘটের কারণে সোমবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল ৬টা থেকে সিলেট নগর ও সকল উপজেলায় সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচল বন্ধ রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর) অটোরিকশা, অটোটেম্পো শ্রমিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে পাঁচ দফা দাবি জানিয়ে সোমবার সকাল ৬টা থেকে ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘটের ঘোষণা দেন জেলা সিএনজিচালিত অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. জাকারিয়া আহমদ।
তাদের দাবিগুলো হলো- সিএনজিচালিত অটোরিকশার নিরাপত্তায় গ্রিল সংযোজনের সিদ্ধান্ত স্থায়ীভাবে স্থগিত, সিলেট মহানগরসহ সকল উপজেলায় চলাচলরত ব্যাটারিচালিত রিকশা, মোটরবাইক, অটোবাইক, টমটম, মিশুক ও প্রাইভেট গাড়িতে যাত্রী পরিবহন বন্ধ, সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের মেট্রোপলিটন এলাকা পর্যন্ত সিএনজিচালিত অটোরিকশার চলাচলের সুযোগ, সিলেট জেলা, মেট্রো এবং সিটিতে সিএনজিচালিত অটোরিকশা শ্রমিক প্রতিনিধি নিয়োগ, ঢালাওভাবে সিএনজিচালিত অটোরিকশার বেআইনি বিক্রি ও শোরুম বন্ধ, বিক্রিত অটোরিকশার রেজিস্ট্রেশন ফি প্রদানকারীদের রেজিস্ট্রেশন অবিলম্বে দেয়া, ড্রাইভিং লাইসেন্সসহ ট্যাক্স, ফিটনেস রোড পারমিট ইস্যু ও নবায়নে সব ধরনের হয়রানি বন্ধ, সিলেট মহানগর ও বিভিন্ন উপজেলায় অটোরিকশার পার্কিং স্থানের ব্যবস্থা, সিএনজি অটোরিকশার শ্রমিকদের সরকারি কর্তব্য পালন করার খোরাকি দেয়া।
জেলা সিএনজিচালিত অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. জাকারিয়া আহমদ ঢাকাপোস্টকে বলেন, আমাদের সকল দাবি মানতে হবে। দাবি না মানলে সামনে আরও বড় কর্মসূচি দিব।
এদিকে অটোরিকশার ধর্মঘটের তেমন প্রভাব পড়েনি সিলেট নগরে। অটোরিকশা না চললেও রিকশা, লেগুনা ও নগর এক্সপ্রেসের বাস চলাচল করায় যাত্রীদের তেমন সমস্যা হচ্ছে না। ধর্মঘটের সমর্থনে দক্ষিণ সুরমায় বিক্ষোভ মিছিল করেছেন অটোরিকশা মালিক ও শ্রমিকরা।
সোমবার সিলেট নগরের পাঠানটুলা, আম্বরখানা, বন্দরবাজার, রিকাবীবাজার, টিলাগড় ও দক্ষিণ সুরমার হুমাউন রশীদ চত্বর ঘুরে যাত্রীদের ভোগান্তি চোখে পড়েনি। তবে ধর্মঘটের অজুহাতে রিকশা ও লেগুনার ভাড়া ৫ থেকে ১০ টাকা বেশি নিচ্ছেন বলেন অভিযোগ করছেন যাত্রীরা।
পাঠানটুলা এলাকার সজিব মিয়া বলেন, ব্যবসার কাজে প্রতিদিন বন্দরবাজার যেতে হয়। অটোরিকশায় চলাচল করলেও আজ লেগুনায় যেতে হয়েছে। অটোরিকশায় ১৫ টাকা ভাড়া নিলেও লেগুনায় ২০ টাকা দিতে হয়েছে।
একই অভিযোগ করেন মুন্সিপাড়া এলাকায় তানিম মিয়া। তিনি বলেন, মুন্সিপাড়া থেকে চৌহাট্টায় আগে রিকশা ভাড়া ১৫ টাকা নিলেও আজ ২০ টাকা দিতে হয়েছে।
জেলা হিউম্যান হলার চালক শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইনছান আলী ঢাকাপোস্টকে বলেন, ধর্মঘটের সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। শহর ও সকল উপজেলায় লেগুনা চলছে।
তিনি আরও বলেন, আমি সকালে কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখেছি ধর্মঘটের কোনো প্রভাব নেই। রাস্তায় প্রচুর রিকশা ও লেগুনা রয়েছে।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (মিডিয়া) বিএম আশরাফ উল্যা তাহের বলেন, ধর্মঘটের নামে বিশৃঙ্খলা করলে পুলিশ ব্যবস্থা নিবে। আমাদের সদস্যরা মাঠে সক্রিয় আছেন।
এসপি