এক বছরেও সরেনি হেলে পড়া বৈদ্যুতিক খুঁটি, আশঙ্কায় স্থানীয়রা
রংপুরের কাউনিয়ায় প্রায় এক বছর ধরে হেলে পড়ে আছে একটি বৈদ্যুতিক খুঁটি। ১১ কেভি ভোল্টের বিদ্যুৎ সঞ্চালনে ব্যবহৃত এ খুঁটিটি দীর্ঘদিন ধরে মাটিতে হেলে পড়ে থাকায় বড় ধরনের দুর্ঘটনায় আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।
এদিকে স্থানীয়রা বারবার ঝুঁকিপূর্ণ এই খুঁটি সংস্কার করতে আবেদন করলেও কোনো উদ্যোগ নেয়নি পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ, যদিও বিদ্যুৎ বিভাগ হেলে পড়া খুঁটির বৈদ্যুতিক সঞ্চালন বন্ধ রেখেছে।
সরেজমিনে শুক্রবার (২২ জুলাই) বিকেলে উপজেলার হারাগাছ ইউনিয়নের বকুলতলা উদাশির পাড় গ্রামে দেখা গেছে, বিস্তীর্ণ কৃষিজমির মাঝখানে জলাশয় ঘেঁষে ১১ কেভি ভোল্টের সঞ্চালন লাইনের বৈদ্যুতিক খুঁটিটি মাটিতে হেলে পড়ে আছে। বিদ্যুৎস্পৃষ্টের ভয়ে কৃষকরা জমিতে যেতে পারছেন না। রংপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২-এর হারাগাছ জোনাল দপ্তর এই সঞ্চালন লাইনের দেখভালের দায়িত্ব থাকলেও তাদের নীরব ভূমিকায় ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা বলছেন, খুঁটিতে ১১ কেভি ভোল্টের সঞ্চালন লাইনের তার থাকায় সবাই আতঙ্কে আছেন। কিন্তু গত ২৪ ঘণ্টায় এটি মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় যদি কোনো দুর্ঘটনা ঘটে বা সঞ্চালন চালু হলে পানি থেকে বিদ্যুতায়িত হয়ে বড় কোনো দুর্ঘটনার ঘটে, এর দায় কে নেবে?
আতঙ্ক প্রকাশ করে উদাশির পাড় গ্রামের কৃষক আবুল কালাম জানান, ওই এলাকায় নিচু কৃষিজমির ওপর ১১ কেভি ভোল্টের সঞ্চালন লাইনের বেশ কয়েকটি বৈদ্যুতিক খুঁটি রয়েছে। গত বছর বর্ষায় একটি বৈদ্যুতিক খুঁটির গোড়া থেকে মাটি দূরে সরে হেলে পড়ে। ওই খুঁটিটি হারাগাছ বিদ্যুৎ অফিস থেকে একাধিকবার এসে দেখে গেছে। কিন্তু এখনো মেরামত করা হয়নি। কখন জানি দুর্ঘটনা ঘটে।
একই গ্রামের স্কুলছাত্র রবিউল হাসান বলেন, আমাদের এলাকার মুরব্বিরা বিদ্যুৎ অফিসে বেশ কয়েকবার আবেদন করেছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। খুঁটির চারপাশে পানি থাকায় এটি ভীষণ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা চাই দ্রুত সংস্কার বা হেল পড়া খুঁটিটি সোজা করা হোক।
এ ব্যাপারে রংপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর হারাগাছ জোনাল অফিসের ডেপুটি ম্যানেজার (ডিজিএম) আরিফুল কবির জানান, মাটি নরম হওয়ায় কারণে ওই এলাকায় ১১ কেভি ভোল্টের সঞ্চালন লাইনের একটি খুঁটি হেলে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছিল। শুক্রবার বিদ্যুতের খুঁটিটি একেবারেই মাটিতে পড়ে গিয়েছে। ওই লাইনে আপাতত বিদ্যুৎ সঞ্চালন বন্ধ রাখা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে খুঁটিটি মেরামতের জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পুরোপুরি হেলে পড়ার আগে কেন কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, এর জবাবে তিনি বলেন, তখন খুঁটিটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় ছিল না। সামান্য হেলে পড়ে ছিল। এখন যেহেতু মাটিতে হেলে আছে, দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
ফরহাদুজ্জামান ফারুক/এনএ