সার দুর্নীতির মামলায় বিএডিসির ২ কর্মকর্তার যাবজ্জীবন

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে বিএডিসির ২৩ কোটি টাকা মূল্যের ৯৬ হাজার ২০০ বস্তা সার কেলেঙ্কারিতে দুদকের করা মামলায় দুজনকে যাবজ্জীবন ও তিনজনকে অর্থদণ্ডসহ সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
রোববার (২৪ জুলাই) বিকেলে ময়মনসিংহের বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. শাহাদত হোসেন এ আদেশ দেন।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন কিশোরগঞ্জ বিএডিসির (সার) সাবেক যুগ্ম পরিচালক আহাদ আলী ও ভৈরবের বিএডিসির (সার) ভারপ্রাপ্ত সহকারী পরিচালক রেজাউল করিম।
এ মামলায় সাত বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন নরসিংদীর হাজিপুর নয়াপাড়ার মৃত ফজলু মিয়ার ছেলে মো. হারিছুল হক, কিশোরগঞ্জ অষ্টগ্রাম বাঙ্গালপাড়ার মৃত চুনীলাল রায়ের ছেলে লিটন রায় ও নরসিংদীর বেলাবোর মো. মজিবুর রহমান খানের ছেলে সারোয়ারুল আলম সবুজ।
এ ছাড়া মামলার চার্জশিটভুক্ত দুই আসামি গুদামের গুদামরক্ষক মো. খোরশেদ আলম ও গুদামের সরদার মো. রতন মিয়া মামলা চলাকালে মৃত্যুবরণ করায় তাদের বিচার থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেন রাষ্ট্রপক্ষে দুদকের আইনজীবী কাজী শফিকুল হাসান।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, ২০১৪ সালের ১৬ নভেম্বর কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মজুত সার না থাকায় ও সারের ঘাটতি হওয়ায় বিএডিসির (সার) যুগ্ম পরিচালক মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ শেখ বাদী হয়ে মামলা করেন। ১০ জুলাই ২০১৫ সালে মামলায় দুদকের দেওয়া তদন্ত প্রতিবেদন চার্জশিট আদালতে দাখিল হয়। আদালত ১৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য ও শুনানি শেষে আজ রোববার এ আদেশ দেন।
রাষ্ট্রপক্ষে দুদকের আইনজীবী কাজী শফিকুল হাসান এবং আসামিপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ ফজলুল হক, মকবুল হোসেন ভূঁইয়া এ মামলা পরিচালনা করেন।
এসকে রাসেল/এনএ