‘জীবনের প্রথম ভোট নৌকায় দিতে পারলাম না’
টাঙ্গাইল সদর ইউনিয়নের কাতুলি ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে ভোট দিতে পারেননি রাসেল রানা নামে এক যুবক। বুধবার (২৭ জুলাই) সকালে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট দিতে গেলে ফিঙ্গার নেওয়ার পর তাকে বলা হয় ভোট হয়ে গেছে।
রাসেল রানা কাতুলি ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহরের ছেলে। এ বিষয়ে কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিসাইডিং কর্মকর্তা শাহিনুজ্জামানের কাছে অভিযোগ দিয়েও কোনো প্রতিকার পাননি বলে অভিযোগ করেন রাসেল।
রাসেল রানা বলেন, ভোট দেওয়ার জন্য দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার পর ভোটকক্ষে প্রবেশ করি। এরপর পোলিং অফিসার আমার ফিঙ্গার নেওয়ার পর গোপন বুথে যাওয়ার আগেই বলা হয় তোমার ভোট দেওয়া হয়ে গেছে। আমরা নৌকার লোকজন হয়েও জীবনের প্রথম ভোটটি নৌকা প্রতীকে দিতে পারলাম না। অভিযোগ দিয়েও কোনো প্রতিকার পাইনি।
আরেক নতুন ভোটার আরিফের ভোটটিও ভেতরে থাকা নৌকার লোকজন দিয়ে দিয়েছে।
আরিফ বলেন, ফিঙ্গার দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই গোপন বুথে থাকা নৌকা প্রতীকের বহিরাগতরা বাটন চেপে ভোট দিয়ে দিয়েছে। অভিযোগ দিয়ে কী করবে। পরে বিপদে পড়তে হবে।
শুধু রাসেল বা আরিফ নয় এমন অভিযোগ করেছেন বেশ কয়েকজন ভোটার। এ সময় সাংবাদিকরা ছবি তুলতে গেলে নৌকার প্রার্থীর লোকজন খারাপ আচরণ করেন।
এদিকে ইভিএমে ভোটগ্রহণে ধীরগতি হওয়ায় ভোটারদের তিন থেকে চার ঘণ্টা করে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। এতে বেলা ১১টার দিকে একজন বয়স্ক নারী সোনা খাতুন ভোট দেওয়ার জন্য দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাড়িয়ে থাকায় অজ্ঞান হয়ে পড়েন।
ভোটারদের অভিযোগ, মেশিনের পরিবর্তে কাগজে সিল মারার ভোটই ভালো ছিল। সিল ভোট থাকলে এতো দেরি হত না।
কাতুলি ইউনিয়ন উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা শাহিনুজ্জামান বলেন, কোনো ভোটার ভোট না দিতে না পারার কোনো অভিযোগ করেননি। যথা নিয়মে ভোটগ্রহণ চলছে।
অভিজিৎ ঘোষ/আরএআর