পাঁচবিবি পৌরসভায় আ.লীগের জয়, জামানত হারাচ্ছেন ৪ জন

জয়পুরহাটে পাঁচবিবি পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী হাবিবুর রহমান বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। বুধবার (২৭ জুলাই) রাতে পৌরসভা নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও বগুড়ার জ্যেষ্ঠ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. হুমায়ন কবির ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
ফলাফল অনুয়ায়ী আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব (নৌকা প্রতীক) ৭ হাজার ৯৫৪ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেকুন নাহার শিখা (কম্পিউটার প্রতীক) পেয়েছেন ৫ হাজার ৪৫০ ভোট।
এদিকে এ নির্বাচনে ছয়জন প্রার্থীর চার মেয়র প্রার্থী জামানত হারাচ্ছেন। পৌরসভা নির্বাচনের বিধি অনুযায়ী, মোট প্রদত্ত ভোটের সাড়ে ১২ দশমিক ৫ শতাংশের কম ভোট পাওয়ায় চারজন মেয়র প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হতে যাচ্ছে।
ওই চার মেয়র প্রার্থী হলেন- নাজমুল আলম চৌধুরী, মুনসুর রহমান মন্ডল, মাহমুদুল হাসান জন এবং মো. শামীম হোসেন।
পাঁচবিবি পৌরসভা নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) সকালে ঢাকা পোস্টকে বলেন, নির্বাচনে প্রদত্ত ভোটের আট ভাগের এক ভাগ ভোট পেতে হয় একজন প্রার্থীকে। এর একটি ভোট কম হলেও জামানত বায়েজাপ্ত হয়। চার মেয়র প্রার্থী প্রদত্ত ভোটের আট ভাগের এক ভাগ অর্থাৎ ১২ দশমিক ৫ শতাংশের কম ভোট পেয়েছেন। এ কারণে তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।
নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ, স্বতন্ত্রসহ মেয়র পদে ছয়জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্বাচনে মোট ভোটার ২১ হাজার ৯১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১০ হাজার ২৬০ জন ও নারী ভোটার ১০ হাজার ৮৩১ জন। পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের ৯টি ভোটকেন্দ্রে মোট ভোট পড়েছে ১৫ হাজার ২৮২ টি। ভোট বাতিল হয়েছে ৪৫টি।
স্বতন্ত্র প্রার্থী নাজমুল আলম চৌধুরী (জগ) পেয়েছেন ৬২৩ ভোট, মুনসুর রহমান মন্ডল (মোবাইল ফোন) পেয়েছেন ৪১৮ ভোট, মাহমুদুল হাসান জন (নারিকেল গাছ) পেয়েছেন ২৯০ ভোট এবং শামীম হোসেন (রেল ইঞ্জিন) পেয়েছেন ৫০২ ভোট। ১২ দশমিক ৫ শতাংশের কম ভোট পাওয়ায় তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হতে যাচ্ছে।
অপরদিকে ক্ষেতলাল পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় আওয়ামী লীগ মনোনীত সিরাজুল ইসলাম সরদার নির্বাচিত হন এবং দুইটি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে দুইজন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। ওই পৌরসভায় বুধবার সাতটি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৬ জন এবং নয়টি ওয়ার্ডে সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৭ জন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
চম্পক কুমার/আরএআর