ইভিএমে ভোট চুরি করা যায়, দাবি বিএনপির মেয়র প্রার্থীর

মাদারীপুর পৌরসভা নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারে ভোটারদের মধ্যে শঙ্কা ও আস্থাহীনতা রয়েছে উল্লেখ করে বিএনপির মেয়র প্রার্থী মো. জাহান্দার আলী মিয়া বলেছেন, সততা না থাকলে ইভিএমে ভোট চুরির সুযোগ আছে।
তিনি বলেন, ইভিএম মেশিনে এমন একটি সফটওয়্যার আছে, যেখানে ভোট রাখা হয়। সেখান থেকে ভোট চুরি করা যায়। ভোট চুরি বন্ধ করতে প্রতি কেন্দ্রে একজন ম্যাজিস্ট্রেটের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের রাখার জন্য নির্বাচন কর্মকর্তাকে অনুরোধ করছি।
মঙ্গলবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেছেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী মো. জাহান্দার আলী মিয়া।
তিনি বলেন, মাদারীপুরে ইভিএম ব্যবহারের সময় হয়নি। মানুষ এখনো ইভিএম সম্পর্কে জানে না। এতে ভোট কাস্টিং এত পরিমাণ কমবে কেউ কল্পনাও করতে পারবে না। এরপরও আমার বিশ্বাস, মানুষ সঠিকভাবে ইভিএমে ভোট দিতে পারলে বিপুল ভোটে জয়ী হবে ধানের শীষ।
স্থানীয় সূত্র জানায়, চারদিন পর ভোট। পৌর এলাকার অলিগলিতে চলছে প্রচারণা। পোস্টার, ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে চারপাশ। ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন মেয়র-কাউন্সিলর প্রার্থীরা। এরই মধ্যে নির্বাচনে বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে।
ইভিএম নিয়ে বিএনপির মেয়র প্রার্থীর এমন বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে মাদারীপুর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান ঢাকা পোস্টকে বলেন, ইতোমধ্যে রাজৈর পৌরসভা নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার হয়েছে। নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দর হয়েছে। ইভিএমে ভোট চুরির সুযোগ নেই। আশা করি, মাদারীপুর পৌরসভায় নির্বাচন ইভিএমে নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু হবে।
নির্বাচনে প্রার্থীদের বিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে জানতে চাইলে মনিরুজ্জামান বলেন, পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিধি ভঙ্গকারী প্রার্থীকে নোটিশ দিয়েছি। এছাড়া আর কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নেব আমরা।
২৮ ফেব্রুয়ারি মাদারীপুর পৌরসভা নির্বাচন। নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন চারজন, সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে আটজন ও সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে প্রার্থী রয়েছেন ৩২ জন।
নাজমুল মোড়ল/এএম