আশুলিয়ায় ককটেল ফাটিয়ে আড়াই লাখ টাকা ছিনতাই

সাভারের আশুলিয়ায় ডাচ-বাংলা ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং রকেটের এক সেলস রিপ্রেজেন্টেটিভকে অস্ত্র দেখিয়ে টাকার ব্যাগ নিয়ে গেছে ছিনতাইকারীরা। এ সময় চারটি ককটেল ফাটিয়ে ত্রাস সৃষ্টি করে পালিয়ে যায় তারা।
মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) বিকেল ৩টার দিকে আশুলিয়ার শিশুলিয়া ইউনিয়নের পাড়াগ্রামে শাখা সড়কে এই ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী হলেন ডাচ-বাংলা ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং রকেটের এক সেলস রিপ্রেজেন্টেটিভ ও ধামরাইয়ের কুশুরা ইউনিয়নের শহিদুল ইসলামের ছেলে শাহিন আলম।
শাহিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, প্রতিদিনের ন্যায় আমি এজেন্টদের টাকা রিচার্জ করতে যাই। প্রথম কুশুরা থেকে আমরা টাকা নিই, পরে বান্নারখোলা যাই। সেখানে কিছু লেন-দেন করে আশুলিয়ার আমতলার দিকে যাই। সেখানে কাজ শেষ করে পাড়াগ্রামের দিকে রওনা হই। কিছুদূর যেতেই দুটি মোটরসাইকেল এসে আমাদের মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে ও লাথি দিয়ে ফেলে দেয়।
পরে পিস্তল দেখিয়ে আমাদের ভয় প্রদর্শন করে টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে দুটি ককটেল ফাটিয়ে ত্রাস সৃষ্টি করে। এর পর আমতলা স্ট্যান্ডে গিয়ে আবার দুটি ককটেল বিস্ফোরণ করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় আমাদের এমডি শের আলী হোসেন থানায় ইনফর্ম করলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ধামরাই থানা পুলিশ।
তিনি আরও বলেন, আমার সঙ্গে আরেক সহকর্মী সামাদ হোসেন ছিলেন। তিনিও ভয়ে কিছু বলতে পারেননি। দুই মিনিটের মধ্যে সিনেমা স্টাইলে আমাদের কাছ থেকে আড়াই লাখ টাকা ছিনতাই হয়ে যায়।
ধামরাই কালামপুরে ডাচ বাংলা ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং রকেট এজেন্টের মালিক শের আলী বলেন, প্রথমে ধামরাই থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। তদন্ত করে জানায় ঘটনাটি আশুলিয়া থানার অধীনে। পরে আশুলিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।
এ বিষয়ে ধামরাই থানার এস আই জসিম হোসেন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল গিয়ে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করেছি। পরবর্তীতে ঘটনাটি আশুলিয়া থানার অধীনে হওয়ায় ভুক্তভোগীদের সেই থানায় অভিযোগ করার পরামর্শ দিই।
এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জিয়াউল ইসলাম বলেন, আমরা ঘটনাটি শুনেছি। ভুক্তভোগীরা অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
মাহিদুল মাহিদ/আরআই