সড়কের গাছ কাটছেন চেয়ারম্যান, পাহারা দিচ্ছেন আ.লীগ নেতা
কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. আলী হোসেনের বিরুদ্ধে সরকারি সড়কের গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গাছ কাটায় যেন কেউ বাধা দিতে না পারে, সে জন্য পাহারা দিচ্ছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আকাদ্দেস হোসেন।
মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) সকাল থেকে কয়া ইউনিয়নের রায়ডাঙা বিলপাড়া সড়কের অন্তত ছয়টি মেহগনিগাছ কাটা হয়। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকা। একই সড়কে কাটার অপেক্ষায় রয়েছে প্রায় লাখ টাকা দামের আরও ৮টি মেহগনিগাছ।
সরেজমিনে বিলপাড়া এলাকায় দেখা যায়, কয়েকজন শ্রমিক সকড়ের গাছ কাটছেন। অন্তত ছয়টি মাঝারি আকারের মেহগনিগাছ কাটা হয়েছে। দাঁড়িয়ে আছে আরও আটটি গাছ। পর্যায়ক্রমে সেগুলোও কাটা হবে জানান নিযুক্ত শ্রমিকরা।
ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৩ নম্বর সদস্য শাহিন আলী বলেন, গাছ কাটার খবর শুনে লোক পাঠিয়ে জানতে পারি চেয়ারম্যান গাছ কাটছেন। পরে আমি চেয়ারম্যানকে ফোন দিই। ফোনে তিনি বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের ভাগের অংশের গাছ কাটা হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, চেয়ারম্যান সাহেব অবৈধভাবে সড়কের গাছ কাটছে। প্রতিটি গাছের মূল্য হবে প্রায় ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা। আর আওয়ামী লীগ নেতা মো. আকাদ্দেস এ কাজের দেখাশোনা করছেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আকাদ্দেস বলেন, চেয়ারম্যানের নির্দেশে গাছ কাটা হচ্ছে। কেউ যেন গাছ কাটায় বাধা প্রদান না করে, আমি শুধু সে বিষয় দেখাশোনা করছি।
গাছ কাটার বিষয়টি স্বীকার করে ইউপি চেয়ারম্যান মো. আলী হোসেন বলেন, ভুল করে গাছ কাটার অনুমতি দিয়েছি। নিয়ম জানতাম না। আমার ভুল হয়েছে। বিষয়টি ইউএনও স্যারকে জানিয়েছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিতান কুমার মন্ডল বলেন, সড়কের গাছ কাটার খবর পেয়েছি। গাছগুলো জব্দ করা হচ্ছে। তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রাজু আহমেদ/এনএ