অবৈধ বিলবোর্ড সাইনবোর্ড ব্যানার ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে রংপুর

রংপুরে রাস্তাঘাট, ফুটপাত ও বিভিন্ন স্থাপনার দিকে তাকালেই অসংখ্য বিলবোর্ড, সাইনবোর্ড, ব্যানার, ফেস্টুন, প্রজেক্ট সাইন ও শপসাইন দেখা যায়। যেন প্রতিযোগিতা করে একটার পর একটা গা ঘেঁষে সাঁটানো হয়েছে। ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বিলবোর্ড-সাইনবোর্ডে ভাটা পড়ছে মহানগরীর সৌন্দর্যে।
রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) থেকে মাঝেমধ্যে কিছু সাইনবোর্ড, ব্যানার, ফেস্টুন সরানো হলেও বেশির ভাগই থেকে যায় অধরা। কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে প্রচার-প্রচারণার আধুনিক এসব মাধ্যম এখন নগরের প্রধান সড়ক থেকে শুরু করে অলিগলি সবখানেই ঝুলছে। শুধু তাই নয়, ইদানিং বহুতল ভবনের দেয়ালেও প্রচার হচ্ছে বিভিন্ন কোম্পানির বিজ্ঞাপন। আবার কোথাও কোথাও ভবনের ছাদেও ভাড়ায় দাঁড়িয়ে আছে অবৈধ বিলবোর্ড।
রসিকের কর্মকর্তারা বলছেন, কিছু প্রাতিষ্ঠানিক বিলবোর্ড ও সাইনবোর্ডের অনুমতি রয়েছে। তবে বেশির ভাগ সাইনবোর্ড, ব্যানার, ফেস্টুন, পোস্টার অবৈধ। নগরজুড়ে এমন কতগুলো বোর্ড রয়েছে, তার কোনো সঠিক পরিসংখ্যান জানা নেই তাদের। তবে তদারকি বাড়ালে বছরে কয়েক কোটি টাকা ফি আদায় সম্ভব বলে মনে করেন তারা।
এদিকে নগরের সচেতন মহল বলছে, ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বিজ্ঞাপন প্রদর্শন বন্ধে সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ। এতে করে প্রতি বছর কয়েক কোটি টাকার কর/ফি ফাঁকি দিচ্ছেন সুবিধাভোগীরা। অথচ এসব বিজ্ঞাপন বোর্ড থেকে নিয়মিত কর আদায় করা গেলে যত্রতত্রে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন কমে আসবে। একই সঙ্গে নগরের সৌন্দর্যবর্ধনে মানুষের মধ্যে সচেতনতাও বাড়বে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, রংপুর মহানগরীর সিওবাজার, চেকপোস্ট, মেডিকেল মোড়, ক্যান্ট মোড়, টার্মিনাল মোড়, শাপলা চত্বর, জাহাজ কোম্পানি মোড়, গ্রান্ড হোটেল মোড়, পায়রা চত্বর, সিটি বাজার মোড়, ডিসির মোড়, বাংলাদেশ ব্যাংক মোড়, ধাপ, মাহিগঞ্জ, সাতমাথা মোড়, পার্কের মোড়, মডার্ন অর্জন মোড়, বুড়িরহাট রোড, প্রাইম রোডসহ সিটির বর্ধিত এলাকার গুরুত্বপূর্ণ সড়কের দুপাশে বিলবোর্ড, ছোট ছোট ফেস্টুন, ব্যানার, পোস্টারের পাশাপাশি বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রজেক্ট সাইন এবং শপসাইনে ছেয়ে গেছে।
অনেক স্থানে রাস্তার ওপর রোড ডিভাইডারের মাঝামাঝি বড় বড় বিলবোর্ড স্থাপন করা হয়েছে। এসব সাঁটানোর ক্ষেত্রে ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান কেউই আইন মানছে না। নগরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক থেকে শুরু করে পাড়া-মহল্লার অলিগলিসহ বিভিন্ন স্থানে প্রতিনিয়িত স্থাপন করা হচ্ছে নতুন নতুন বিলবোর্ড। বাদ পড়ছে না ব্যানার, ফেস্টুন সাঁটানো। কেউ কেউ অনুমতি নিয়ে এসব বোর্ড স্থাপন করলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে যে যার ইচ্ছেমত বিজ্ঞাপন বোর্ড বসিয়ে ব্যবসার বা ব্যক্তিগত নয়তো প্রতিষ্ঠানের প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। মানা হচ্ছে না বিধিনিষেধ। যে কারণে ছোট বড় বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কোচিং সেন্টার, চিকিৎসাকেন্দ্র, চিকিৎসক, রাজনৈতিক নেতাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বোর্ডে নগরের বৈদ্যুতিক পোল থেকে শুরু করে অলিগলি ভরে গেছে। এমন দৃশ্য দেখে যে কারো মনে হতো পারে রংপুর এখন বিলবোর্ডের নগর।

নগরবাসীর অভিযোগ, বিলবোর্ড, সাইনবোর্ড, ব্যানার, ফেস্টুন একদিকে যেমন নগরের সৌন্দর্য নষ্ট করছে, আরেকদিকে এগুলো নগরবাসীর চলাচলে ঝুঁকি তৈরি করছে।
নগরীর শাপলা চত্বর এলাকার ব্যবসায়ী আমজাদ হোসেন বলেন, ডামে বামে যেদিকে দেখবেন শুধু বিজ্ঞাপন বোর্ড আর বিজ্ঞাপন বোর্ড। রাস্তার মাঝের ডিডাইভার থেকে শুরু করে ভবনের ছাদ পর্যন্ত অন্তত ১০-১২টি বিলবোর্ড আছে। ব্যানার, ফেস্টুন তো অসংখ্য। যতদূর জানি এসবের অধিকাংশ অনুমোদনহীন। ঝুঁকিপূর্ণ কিছু বোর্ডের কারণে ঝড়-বৃষ্টির সময় সবার মধ্যে একটা ভীতি কাজ করে।
ধাপ এলাকার হামিদা আফরোজ বলেন, রাস্তার দুই পাশের ভবনগুলোতে তাকালে দেখা যায় প্রায় অর্ধশত সাইনবোর্ড। একটি ভবনে হাসপাতাল, ব্যাংক, বীমা আরও কত কী। স্কুল-কলেজের দেয়ালে পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন। রাস্তায়-ফুটপাতে রোড সাইনের সঙ্গে, এমনকি পুলিশ-বক্সেও বিজ্ঞাপন শোভা পাচ্ছে। সবকিছুর তো একটা নিয়ম আছে, কিন্তু আমাদের শহরে কেউ কি নিয়ম মেনে এসব প্রচার করছে। এ জন্য সিটি করপোরেশন দায়ী। তারা অবৈধ ব্যানার পোস্টার, ফেস্টুনসহ অন্যান্য বোর্ডগুলো সরাতে পারছে না। এভাবে প্রতিযোগিতা করে প্রচারণা চালাতে থাকলে নগরীর সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যাবে।
হাজীপাড়া চামড়াপট্টি এলাকার এক ব্যবসায়ী তার নকশাবহির্ভূত ভবনের পুরো দেয়ালজুড়ে একটি মোবাইল ফোন কোম্পানির বিজ্ঞাপন অংকন করেছেন। ওই ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা হলে নাম না প্রকাশের শর্তে তিনি জানান, সাত হাজার টাকা বাৎসরিক চুক্তিতে তিনি দেয়াল ভাড়া দিয়েছেন। তবে মোবাইল কোম্পানির বিজ্ঞাপন প্রচারে সিটি করপোরেশন থেকে অনুমতি নিয়েছেন কিনা, তা তিনি নিশ্চিত করতে পারেননি।
নগরীর বেশ কয়েকজন দোকান মালিকের সঙ্গে এ নিয়ে কথা হয়। তারা জানান, লাইসেন্স করার সময় দোকানের সাইনবোর্ড বাবদ একটা বাৎসরিক ফি সিটি করপোরেশন নিয়ে থাকে। তবে কোনো নিয়মনীতি বা তদারকি না থাকায় তাদের অনেকেই ইচ্ছে মতো সাইনবোর্ড, শপসাইন, ডিজিটাল এলইডি বোর্ডসহ বিভিন্ন সাইজের বোর্ড ব্যবহার করছেন। এতে সিটি করপোরেশন নিয়মানুযায়ী রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। সিটি কর্তৃপক্ষ সব কিছু সঠিকভাবে দেখভাল করলে শুধু বিলবোর্ড, ব্যানার, সাইনবোর্ড, ফেস্টুন, পোস্টারসহ অন্যান্য প্রচারণা মাধ্যম থেকে বছরে ৫-৬ কোটি টাকার ঊর্ধ্বে আয় করতে পারবে। এটা বাস্তবায়নে সিটি করপোরেশনের লোকজনকেই উদ্যোগ নিতে হবে।
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইভান চৌধুরী বলেন, ঝড় উঠলে মনের মধ্যে ভয় কাজ করে। কখন আমাদের নগরে বিলবোর্ড ধসে পড়ে দুর্ঘটনা ঘটে। এখন তো আমাদের পুরো নগরের সড়কের মাঝখানে ও দুপাশেসহ বহুলতল ভবনগুলোতে বিজ্ঞাপনের বাহার। হরেক রকম বিজ্ঞাপনে ছেয়ে গেছে। দেখে বোঝাই যায় এসবের বেশির ভাগই অবৈধ। শুনেছি সাইনবোর্ড-বিলবোর্ডের বিষয়গুলো সিটি করপোরেশন দেখে। এখন এই যে হাজার হাজার সাইনবোর্ড আমাদের মাথার ওপর ঝুলছে, এগুলোর দায়িত্ব কে নেবে।
জানা গেছে, মিউনিসিপাল করপোরেশন (ট্যাক্সেশন) রুলস-১৯৮৬ অনুযায়ী- কোনো ব্যক্তি যদি কারও জমি বা ভবনে অথবা পৌরসভা/করপোরেশনের জমি বা ভবনে বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে বিলবোর্ড অথবা সাইনবোর্ড স্থাপন করতে চায়, তবে অবশ্যই পৌরসভা/করপোরেশনের অনুমতি নিতে হবে। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে কর দিতে হবে।
কিন্তু সিটি করপোরেশন থেকে অনুমোদন নিয়ে ব্যানার, পোস্টার, ফেস্টুন, বিলবোর্ড, সাইনবোর্ড, শপসাইন, রোডসাইন সাঁটানো ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা খুবই কম। কেউ কেউ অনুমতি নিয়ে সিটি কর্তৃপক্ষকে ফাঁকি দিয়ে নির্ধারিত সংখ্যার চেয়ে বেশি করে ব্যানার, পোস্টার, ফেস্টুন, বিলবোর্ড, সাইনবোর্ড ব্যবহার করে প্রচারণার কাজ সারছেন।
নগরীর প্রেসক্লাব সংলগ্ন নিউক্রস রোডের এক ব্যবসায়ী নাম না প্রকাশের শর্তে বলেন, আমাদের এই মার্কেটসহ আশপাশের বিভিন্ন মেশিনে পোস্টার, প্যানা, সাইনবোর্ড, স্টিকার, বিলবোর্ড, ফেস্টুন অনেকেই তৈরি করে নেন। যাদের বেশিরভাগই সিটি করপোরেশনের অনুমোদনহীন। আবার কেউ যদি সিটি থেকে চার-পাঁচটি ফেস্টুনের অনুমতি নেয়, তারা ২০-২৫টি ফেস্টুন তৈরি করে নিচ্ছে। এখানে আমাদের কারো কিছু করার নেই। অনেকে স্বেচ্ছায় আমাদেরকে অনুমোদন আছে বলে জানায়। তবে বেশির ভাগের খবর আমরা জানি না।
এব্যাপারে জানতে সিটি করপোরেশনের লাইসেন্স শাখার এক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা হয়। নগরজুড়ে কতগুলো বিলবোর্ড রয়েছে তার সঠিক পরিসংখ্যান জানাতে পারেনি লাইসেন্স পরিদর্শক শামসুজ্জামান হক। তিনি বলেন, আমাদের হিসেবে ৬০টি বিলবোর্ড রয়েছে। এসব থেকে আমরা নিয়মিত ভাড়া পেয়ে থাকি। তবে ভবনের ছাদে ও দেয়ালে বিজ্ঞাপন প্রচারের ক্ষেত্রে হাতেগণা ১০-১৫ জন ছাড়া বেশির ভাগই নির্ধারিত ফি জমা না দিয়ে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন। যারা কর/ফি দেয় না এবং যাদের অনুমতি নেই তারা তো অবৈধ। আমরা এসব অবৈধ প্রচারসামগ্রী অপসারণে মাঝেমধ্যে হাট-বাজারে অভিযান পরিচালনার পাশাপাশি সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন করে আসছি। তবে জনবল সংকটের কারণে সিটির বর্ধিত এলাকাসহ অনেক এলাকায় আমাদের যাওয়া সম্ভব হয় না।
নাম না প্রকাশের শর্তে লাইসেন্স বিভাগের আরেক কর্মকর্তা জানান, নগরীর বিভিন্ন জায়গায় রাজনৈতিক নেতাদের পাশাপাশি বিভিন্ন কোচিং সেন্টার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, চিকিৎসক, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ব্যানার, পোস্টার, ফেস্টুন স্টিকার লাগানো রয়েছে। এগুলোর বেশির ভাগ অনুমতি ছাড়া লাগানো, এ কারণে এসব অবৈধ। এগুলোর জন্য কেউই ঠিক মতো অনুমতি নেয় না।

সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) রংপুর মহানগর সভাপতি অধ্যক্ষ ফখরুল আনাম বেঞ্জু বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি প্রত্যেক সিটি করপোরেশনকে নিজস্ব রাজস্ব আয়ের ওপর নির্ভরশীল হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। আমাদের উচিত হবে সেই দিকে খেয়াল রেখে রাজস্ব আদায়ে তৎপরতা বাড়ানো। নগরজুড়ে যত সাইনবোর্ড, ব্যানার, ফেস্টুন, বিলবোর্ড, পোস্টার, শপসাইন, রোডসাইন রয়েছে -এগুলোর হিসেব থাকা প্রয়োজন। কারণ এখান থেকে নীতিমালা অনুসরণ করে বছরে ১০-১২ কোটির বেশি রাজস্ব ও ফি আদায় করা সম্ভব। যদি এক বছর টানা অভিযান পরিচালনা করা হয়, এর সুফল সহজেই মিলবে। তবে শুধু অপসারণ নয়, অবৈধ ও অনুমোদনহীনদের জরিমানাও করতে হবে।
সিটি করপোরেশনের লাইসেন্স বিভাগের প্রধান শামীম হোসেন বলেন, অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যারা লাইসেন্সভুক্ত। অর্থাৎ যাদের ব্যবসায়িক অনুমোদন বা ট্রেড লাইসেন্স রয়েছে। তারা কিন্তু লাইসেন্স নবায়নের সময়ই তাদের ব্যানার/সাইনবোর্ড বাবদ নির্ধারিত ফি পরিশোধ করেন। অনুমতি নেয়া এমন প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা প্রায় ৮ হাজার। আমরা প্রতিবছর শুধু বিলবোর্ড, সাইনবোর্ড, ব্যানার, ফেস্টুন থেকে এক কোটি টাকার মতো আয় করে আসছি। গত পাঁচ বছরে এর পরিমাণ ৪ কোটির টাকার উর্ধ্বে হবে। অনেকেই নিয়ম না মেনে এবং ফি ফাঁকি দিয়ে যত্রতত্র এসব প্রচার মাধ্যম স্থাপন করছেন। এতে সিটি করপোরেশন ফি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
রংপুর সিটি করপোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা উম্মে ফাতিমা বলেন, শুধু ব্যানার, সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড নয়, যদি কেউ কোনো দেয়ালের ওপর কোনো পেনাফ্ল্যাস্ক বা বিজ্ঞাপনের পেইন্ট করতে চান, তাহলে আমাদের কাছে অনুমতি নিয়ে ফি পরিশোধ করতে হবে। এখন কেউ যদি অনুমতি ছাড়া এসব করে থাকে তাহলে তা অবৈধ। এখন এর পরিমাণ কত তা আমার জানা নেই। তবে আমরা অভিযোগ পেলে এসব অপসারণ করে থাকি। নগরবাসীকেও এ ব্যাপারে সচেতন হতে হবে।
এ বিষয়ে রংপুর সিটি করপোরেশনের (রসিক) প্যানেল মেয়র মাহমুদুর রহমান টিটু বলেন, এসব বিজ্ঞাপন বোর্ড, ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের প্রচারণা বোর্ড থেকে তেমন আয় নেই সিটি করপোরেশনের। অর্থাৎ নিয়মানুযায়ী কর আদায় করা হয় না। বিলবোর্ডগুলো ভাড়া দেওয়া আছে, সেখান থেকে বাৎসরিক আয় হচ্ছে। আমরা চেষ্টা করছি সবকিছুকে ফি’র আওতায় আনতে। অবৈধ বিলবোর্ড-সাইনবোর্ড দ্রুত অপসারণ করা হবে।
আরএআর