হাসপাতালে ছাত্রলীগ কর্মীকে হত্যাচেষ্টা, কাউন্সিলরসহ কারাগারে ৮

বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জে হাসপাতালে ঢুকে ছাত্রলীগ কর্মীসহ চারজনকে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টা ও হাসপাতাল ভাঙচুরের ঘটনায় যৌথ অভিযানে ৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। র্যাব-৮, জেলা গোয়েন্দা ও থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে বরিশালের বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন র্যাব-৮ এর কোম্পানি অধিনায়ক উপ-পরিচালক মেজর মো. জাহাঙ্গীর আলম। তিনি জানান, গ্রেপ্তারদের মেহেন্দীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
মেহেন্দীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, আসামিদের মেহেন্দীগঞ্জ থানার আমলি আদালতে সোপর্দ করলে বিচারক শারমিন সুলতানা তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। মামলার অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত থাকবে।
গ্রেপ্তাররা হলেন, মেহেন্দিগঞ্জ পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান হোসেন সোহেল মোল্লা, তার সহযোগী মাকসুদুর রহমান মিরাজ, জাহাঙ্গীর আলম ওরফে গনি, কামরুল ইসলাম, মো. রিপন রাঢ়ী, কামাল মাঝি, সোহাগ, আল আমিন।
হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় ১৬ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত ৮/১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন আহত ছাত্রলীগ কর্মী ইমরান খান।
প্রসঙ্গত, বরিশাল-৪ আসনের সংসদ সদস্য পংকজ নাথের অনুসারী হয়ে কাজ না করায় ২৮ আগস্ট দুপুরে ছাত্রলীগ কর্মী রিমনকে সহযোগী দিয়ে তুলে নিয়ে আটকে রেখে নির্যাতন চালায় পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহজাহান হোসেন সোহেল মোল্লা। তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে আহত রিমনের বন্ধুরা চিকিৎসা সহায়তার জন্য সেখানে যান।
এই খবর পেয়ে কাউন্সিলরের নেতৃত্বে ২০/২৫ জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হাসপাতালে চালিয়ে চিকিৎসারত ছাত্রলীগ কর্মী ও তার বন্ধুদের মিলিয়ে মোট চারজনকে কুপিয়ে জখম করে। এ সময় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা সরঞ্জাম ভাঙচুর করে হামলাকারীরা।
সৈয়দ মেহেদী হাসান/আরআই