বগুড়ায় ৬ ঘণ্টা টানা বৃষ্টি, বাসাবাড়ি-দোকানে হাঁটু পানি

Dhaka Post Desk

জেলা প্রতিনিধি, বগুড়া

১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৩:০৫ পিএম


বগুড়ায় ৬ ঘণ্টা টানা বৃষ্টি, বাসাবাড়ি-দোকানে হাঁটু পানি

বগুড়ায় ৬ ঘণ্টা মুষলধারে বৃষ্টি হওয়ায় শহরের প্রাণকেন্দ্রসহ বেশ কয়েকটি স্থানে হাঁটুসমান পানি জমেছে। মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ১১০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। যা এ মৌসুমের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত।

এদিকে টানা বৃষ্টিতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পানি প্রবেশ করেছে। এতে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বলে তারা জানিয়েছে। আবার পৌর এলাকার ড্রেনেজ ব্যবস্থা ভালো না থাকায় অনেক বাসাবাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে। 

জানা গেছে, টানা বৃষ্টিতে শহরের প্রাণকেন্দ্র সাতমাথা, স্টেশন রোড, সেউজগাড়ি, খান্দার রোড, চকযাদু রোড, বাদুরতলা, বড়গোলা, টিনপট্টি, প্রেসপট্টিসহ অনেক রাস্তায় হাটুসমান পানি জমেছে। পানি দ্রুত নিষ্কাশন না হওয়ায় শহরের হকার্স মার্কেট, বড়গোলা, টিনপট্টির বেশ কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পানি প্রবেশ করেছে। এতে ব্যবসায়ীদের পণ্য পানিতে ভিজে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া শহরের দক্ষিণ কাটনারপাড়া, বাদুড়তলা, সেউজগাড়ি এলাকায় অনেক বাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে। এতে শিক্ষার্থীদের বইসহ অনেক কিছু ভিজে গেছে।

Dhaka post

দক্ষিণ কাটনারপাড়ার মুক্তার হোসেন জানান, বাসায় পানি প্রবেশ করে রুমে ঢুকেছে। ছেলে-মেয়েদের বই, কাপড়সহ বেশ কিছু জিনিস ভিজে গেছে।

হকার্স মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি রফিকুল ইসলাম বলেন, স্টেশন রোডে পানি জমে যাওয়ার কারণে হকার্স মার্কেটে পানি নামতে না পারায় বেশ কয়েকটি দোকানে পানি ঢুকে পণ্য নষ্ট হয়ে গেছে। এতে করে ওই ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

রিকশাচালক শহিদুল ইসলাম বলেন, দুপুরেও শহরের টিনপট্টিতে এক হাঁটু পানি ছিল। ওই পানির মধ্যে রিকশা নিয়ে আসায় মোটরে পানি প্রবেশ করেছে। এতে মোটরে সমস্যা হবে।

বগুড়া আবহওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আশেকুর রহমান জানান, গত ৬ ঘণ্টায় বগুড়ায় ১০৯.৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। যা এ মৌসুমের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত। এ সময় বাতাসের গতিবেগ ছিল ৪০ কিলোমিটার। মঙ্গলবার সারা দিনই মাঝারি ও ভারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। নিম্নচাপের কারণে এই বৃষ্টিপাত হচ্ছে।

বগুড়া পৌরসভার মেয়র রেজাউল করিম বাদশা বলেন, পৌরসভার ড্রেনগুলো প্রশস্ত করা জরুরি। কিন্তু বাজেট সীমিত পাওয়ার কারণে কাজ করা সম্ভব হয় না। যেসব ড্রেন আছে তার অর্ধেক ভাঙা, সেগুলো আমরা পর্যায়ক্রমে মেরামত ও পরিষ্কার করছি।

এসপি

Link copied