আজ থেকে আমরা আর গরিব নই

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগ বাস্তবায়ন উপলক্ষে নিজ উদ্যোগে ভূমিহীন ও গৃহহীন আট পরিবারকে নিজের জমি দান করলেন পঞ্চগড় জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আবুল হাসনাত মো. সাইফুর রহমান ও তার সহধর্মিণী পারুল বেগম।
আট ভূমিহীন পরিবারের প্রত্যেককে দুই শতক করে ১৬ শতক জমি দান করা হয়। সেই ১৬ শতক জমির ওপর প্রতি পরিবারের জন্য থাকছে দুটি আধা পাকা ঘর, একটি রান্নাঘর, একটি সৌর প্যানেল, টিউবওয়েল ও টয়লেট।
সোমবার (১ মার্চ) বিকেলে সব আইনি প্রক্রিয়া শেষে জেলার সদর উপজেলার ধাক্কামারা ইউনিয়নের আরাজী শিকারপুর এলাকায় মোট ১৬ শতক জমির দলিলপত্র সম্পাদন করে ওই আট পরিবারকে হস্তান্তর করেন। শুধু তা-ই নয়, ওই আট গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারের বসবাসের জন্য ঘর তৈরি করার ব্যবস্থাও করবেন ওই দম্পতি৷
এ বিষয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আবুল হাসনাত মো. সাইফুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ২০২০ সালের ৮ মার্চ ঘোষণা দিয়েছিলেন যে আমাদের দেশে একটি মানুষও আর ভূমিহীন ও গৃহহীন থাকবে না। তার এই মহান ব্রত সামনে রেখে আমি আমার সহধর্মিণী পারুল বেগমের সহায়তায় আরাজি শিকারপুর এলাকায় আটটি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে ১৬ শতক জমি দান করেছি এবং তাদের জন্য আমি আধা পাকা ঘরসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করে দিচ্ছি।
এ সময় উপকারভোগী ভূমিহীন ও গৃহহীন নুর নেহার বলেন, আমাদের নিজস্ব কোনো ঠিকানা নাই। জায়গাজমি এমনকি বাড়িও নাই। আমরা দিন আনে দিন খাই। আমাদেরকে আবুল হাসনাত মো. সাইফুর রহমান তার নিজের জমি দান করে আমাদের রেজিস্ট্রি করে দিলেন এবং তিনি আমাদের জন্য নতুন বাড়িঘর করে দেবেন। আজ থেকে আমরা আর গরিব নই। আমাদের একটা ঠিকানা তৈরি করে দিলেন তিনি। আমরা তার কাছে কৃতজ্ঞতা জানাই।
একই কথা বলেন আরেক উপকারভোগী সমিজা বেগম, আমি গরিব লোক। মানুষের বাড়িতে কাজ করে খাই। এতদিন আমার জমিজায়গা কিছুই ছিল না। আজ আমাকে জমি দান করলেন হাসনাত ভাই ও পারুল ভাবি। এবং তারা বলেছেন, আমার পছন্দমতো করে আমার জন্য একটা বাড়ি করে দেবেন। আমি আজ ধন্য। আজ থেকে আমি আর গরিব মানুষ নই।
ওই আট ভূমিহীন ও গৃহহীনদের দান করা জমিতে নিয়ে গিয়ে প্রত্যেককে তাদের জমি দেখিয়ে দেন আবুল হাসনাত ও তার স্ত্রী। পরে সম্পাদন করা জমির দলিলপত্র তাদের হাতে তুলে দেন।
এ সময় জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি বাবুল খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাশেদুজ্জামান খান মিঠুন, সহসভাপতি সাব্বির হোসেন, আল আমিন, সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল বাসার লিটুসহ বিভিন্ন নেতাকর্মীসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
মো. রনি মিয়াজী/এনএ