মেয়রকে ‘ঔদ্ধত্যপূর্ণ’ চিঠি লিখে বিপাকে শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনকে ‘ঔদ্ধত্যপূর্ণ’ চিঠি পাঠিয়ে বিপাকে পড়েছেন রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান। এ ঘটনায় তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
গত ১৮ জুলাই নিজ দপ্তরের প্যাডে রাসিক মেয়রকে ‘ঔদ্ধত্যপূর্ণ’ ওই চিঠি পাঠান শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান। এর প্রেক্ষিতে গত ২৩ সেপ্টেম্বর চেয়ারম্যানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মোহাম্মদ আবু নাসের বেগ স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে ১০ দিনের মধ্যে চেয়াারম্যানকে সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওই আদেশে উল্লেখ করা হয়, গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত থেকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদার প্রতি উদাসীন এবং ঔদ্ধত্যপূর্ণ এ মন্তব্য একজন দায়িত্বশীল সরকারি কর্মচারী বিধিমালা ২০১৮ এর পরিপন্থী।
এদিকে শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের প্যাডে স্বাক্ষর করা ওই চিঠির ভাষা ছিল, ‘আপনার সঙ্গে আমাকে দেখা করার জন্য গেটে অপেক্ষা করতে হবে। আপনার কাছে সময় চাইতে হবে? বিষয়টি কল্পনা করা আমার জন্য দুরূহ। আপনি জানেন কি আমার শাশুড়ি এমপি। আমার আওয়ামী পরিবারে জন্ম। ভবিষ্যতে আমিও এমপি বা মন্ত্রী হতে পারি। গাজীপুরের ও কাটাখালীর মেয়রদের দিকে তাকান। বর্তমানে তাদের কি অবস্থা?’
জানা গেছে, রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমানের স্বাক্ষর করা চিঠি পেয়ে গত ২৪ আগস্ট বিয়ষটি শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে জানান রাসিক মেয়র। এর প্রেক্ষিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানকে শোকজ করেন।
তবে সিটি মেয়রকে ওই চিঠি পাঠানোর কথা অস্বীকার করেছেন রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান। তিনি বলেন, ‘ওই চিঠি আমি লিখিনি। কে বা কারা লিখেছে জানি না। তাদের হয়তো কোনো ইন্টারেস্ট আছে, আমার সঙ্গে মেয়র মহোদয়ের সম্পর্ক নষ্ট করার।’
হাবিবুর রহমান বলেন, ‘আমি তো পাগল নই যে একজন সরকারি কর্মকর্তা হয়ে মেয়রকে চিঠি লিখবো। পরে আমি চিঠি লিখে মেয়র মহোদয়কে তার জবাব দিয়েছি।’
এ বিষয়ে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন জানান, শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের প্যাডে লেখা শালীনতা বিবর্জিত চিঠি পেয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়। এখন বিষয়টি তারা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবেন।
ফেরদৌস সিদ্দিকী/আরএআর
