বইয়ের বদলে বই পাবেন বইপড়ুয়ারা

নিজের কাছে রাখা সব বই পড়া শেষ হয়ে গেছে। র্যাকের তাকে থাকতে থাকতে বইয়ে জমেছে ধুলোর আস্তরণ। এবার নতুন বইয়ের নেশায় মাতোয়ারা। নিজের কাছে থাকা পুরোনো বইয়ের বদলে অন্য বই আনা বা অন্য বইপড়ুয়াদের নিজের পুরোনোটি পড়ার এক সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে বইপড়ুয়াদের সংগঠন ‘ইনোভেটর’।
সংগঠনটি জানায়, ‘বই বিনিময় উৎসব’ আয়োজনের মাধ্যমে একজন বইপড়ুয়া ইচ্ছে করলেই তার পুরোনো পড়ে শেষ করা বইটি দিয়ে অন্য বই নিয়ে যেতে পারবেন। এতে উভয়ের কাছে থাকা বই উভয়ের পড়ার এক সুযোগ তৈরি হচ্ছে।
ব্যতিক্রমী এই উৎসবটির আয়োজন করা হয়েছে শনিবার (৬ মার্চ) সিলেট কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে। ওই দিন বেলা দুইটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত চলবে এই উৎসব। বই বিনিময় উৎসবে যে কেউ একটি বই দিয়ে নিজের পছন্দের একটি বই নিতে পারবেন।
আয়োজক বইপড়ুয়া সংগঠন ইনোভেটর জানিয়েছে, সব বয়সী পাঠকদের জন্য বই বিনিময় উৎসবটি উন্মুক্ত। সৃজনশীল যেকোনো ধরনের বই, ম্যাগাজিন নিয়ে এই উৎসবে অংশ নিতে পারবেন যে কেউ।
পড়া শেষ করে অনেকেই সেলফে বইটি ফেলে রেখে দেন। কিন্তু বইটি আবার আরেকজনের কাঙ্ক্ষিত বই হতে পারে। বই বিনিময় উৎসবের মাধ্যমে উভয় শ্রেণির পাঠকই সব বই পড়ার সুযোগ পাবেন। তা ছাড়া নানা বিষয়-বৈচিত্র্যের বইয়ের সঙ্গে পরিচিত হওয়ারও একটি সুযোগ তৈরি করে দেবে এ আয়োজনটি।
প্রণব কান্তি দেব, ইনোভেটরের নির্বাহী সঞ্চালক
ইনোভেটরের মুখ্য সঞ্চালক সিটি কাউন্সিলর রেজওয়ান আহমদ বলেন, বই বিনিময়ের মাধ্যমে জ্ঞান-প্রজ্ঞার বিনিময় হয়। বইয়ে যে আলো থাকে, তা বিলিয়ে দেওয়ার মধ্যেই আনন্দ। আর এর থেকেই আয়োজন করা হয় বই বিনিময় উৎসবটি।
প্রসঙ্গত, ২০০৬ সালে নতুন প্রজন্মের কাছে মহান মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস পৌঁছানোর জন্য শুরু হয়েছিল সিলেটের এই সংগঠনের যাত্রা। প্রতিবছর শিক্ষার্থীদের নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের বইপাঠ উৎসবের আয়োজন করে পায় পরিচিতি। সংগঠনের সদস্যরা শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেন। আয়োজন করেন বইপড়া প্রতিযোগিতার। মুক্তিযুদ্ধের কথা নতুন প্রজন্মকে জানাতে আরও নানা আয়োজন করেন তারা।
প্রতি সপ্তাহেই অনলাইনে আয়োজন করা হয় বই পড়া কার্যক্রম। এই সপ্তাহে অনলাইনে বই পড়ার ২৯তম আসর অনুষ্ঠিত হবে। এবার বই বিনিময় উৎসব দিয়ে মাঠে আবারও তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে সংগঠনটি।
তুহিন আহমদ/এনএ