গোপালগঞ্জে ডাকাতির মামলায় ৭ জনের যাবজ্জীবন

গোপালগঞ্জে এক ব্যবসায়ীর বাসায় ডাকাতির মামলায় ৭ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আব্বাস উদ্দীন এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- গোপালগঞ্জ শহরের মৌলভীপাড়ার বিল্লাল কাজীর ছেলে মো. সজীব কাজী (২৫), কাশিয়ানী উপজেলার ছোট বাহিরবাগ গ্রামের ইবাদত শরীফের ছেলে শাওন শরীফ (২২), একই গ্রামের মৃত নওশের শরীফের ছেলে সোহাগ শরীফ (২৭), ছানা মিয়ার ছেলে আশিক শেখ (২৬), বাবুল মিয়ার ছেলে রাজু মিয়া (২৬), দলিল উদ্দিন শরীফের ছেলে আনিস শেখ (৩৫) ও মুকসুদপুর উপজেলার কাশালিয়া গ্রামের আক্কাস খানের ছেলে ইমন খান (২৪)।
এদের মধ্যে ইমন খান, আশিক শেখ ও মো. সজীব কাজী আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বাকি চার আসামি পলাতক রয়েছেন। এর মধ্যে শাওন শরীফ ও ইমন খানকে অতিরিক্ত পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও প্রত্যেককে আরও ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০২০ সালের ২৮ জুলাই রাত সাড়ে ৮টার দিকে গোপালগঞ্জ শহরের ব্যবসায়ী শেখ আব্দুল্লাহ পাভেলের বাসায় আসামিরা দরজা খোলার জন্য ডাকাডাকি করেন। একপর্যায়ে দরজা খুললে আসামিরা বাসায় থাকা সদস্যদের কুপিয়ে আহত করে। এ সময় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ডাকাতরা নগদ দেড় লাখ টাকা, ৭ ভরি স্বর্ণ ডাকাতি করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।
এ সময় এলাকাবাসী হাতেনাতে ডাকাত শাওন শরীফ ও ইমন খানকে আটক করে পুলিশে দেয়। পরে তাদের কাছ থেকে লুণ্ঠিত ৮০ হাজার টাকা ও ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন মালামাল উদ্ধার করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্য মতে, পুলিশ বাকি আসামিদের গ্রেপ্তার করে।
এ ঘটনায় ওই বছরের ২৯ জুলাই ব্যবসায়ী শেখ আব্দুল্লাহ পাভেল বাদী হয়ে গোপালগঞ্জ সদর থানায় একটি মামলা করেন। পরে তদন্ত শেষে গোপালগঞ্জ সদর থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) আসলাম উদ্দিন ২০২১ সালের ৩১ জানুয়ারি আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। পরে দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত আজ এ রায় দেন।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন এপিপি মো. শহিদুজ্জামান খান এবং আসামিপক্ষে আইনজীবী ছিলেন মো. সিদ্দিকুজ্জামান, মো. সরোয়ার শিকদার ও মো. সামচুর রহমান।
আশিক জামান/আরএআর