খুলনায় বিএনপির মহাসমাবেশ : যশোরে দুই দিনে গ্রেপ্তার অর্ধশতাধিক

খুলনায় বিএনপির মহাসমাবেশ আগামী ২২ অক্টোবর। সমাবেশ সফল করতে যশোরের বিভিন্ন হাট-বাজারে দলীয় নেতাকর্মীরা প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন। জেলা থেকে ৫০ হাজার মানুষ সমাবেশস্থলে যেতে প্রস্তুতি নিয়েছে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
দলটির অভিযোগ, সমাবেশে মানুষের অংশগ্রহণকে বাধাগ্রস্ত করতে অপকৌশল নেওয়া হয়েছে। পুলিশ দলীয় নেতাকর্মীদের বাড়িতে গিয়ে অভিযান চালাচ্ছে, গ্রেপ্তার করছে। গত দুই দিনে অভিযান চালিয়ে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বিএনপির নেতাদের ভাষ্য, দলের সমাবেশ বানচাল করতে সরকার পরিবহন বন্ধের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাদের সেই কৌশল উপেক্ষা করে মানুষ খুলনার সমাবেশ সফল করবে।
যশোর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু বলেন, সরকার কত জনবিচ্ছিন্ন। একটা রাজনৈতিক দলের বিভাগীয় সমাবেশ করবে, সেটা বানচাল করতে নানা ধরনের পরিকল্পনা নিয়েছে। প্রস্তুতি সভা করতে দিচ্ছে না, পরিবহন বন্ধ করে দিল। আবার বিএনপির কর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করছে। তবে আমরা রণকৌশল পরিবর্তন করেছি। সরকার আগেও আমাদের সমাবেশগুলোতে বাধা দিলেও বন্ধ করতে পারেনি, বরং লাখ লাখ মানুষের সমাগম হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি, সরকারের সব অপকৌশল হটিয়ে দিয়ে যশোরের সাধারণ মানুষসহ নেতাকর্মীরা খুলনা বিভাগীয় সমাবেশ সফল করবে। সরকার যেহেতু যাতায়াত ব্যবস্থা বন্ধ করে কৌশল নিয়েছে, আমরাও কৌশল অবলম্বন করে জনসমাগমের রেকর্ড সৃষ্টি করব।
বিএনপি নেতাকর্মীদের অভিযোগ, আগামী ২২ অক্টোবর খুলনায় বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ বানচাল করতে পুলিশ পরিকল্পিতভাবে গ্রেপ্তার চালাচ্ছে। এর মাধ্যমে নেতাকর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করার চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ করেছেন তারা। সোমবার (১৭ অক্টোবর) রাতে সদরের নরেন্দপুর ইউনিয়ন পরিষদের একজন মেম্বার ও স্থানীয় একজন যুবলীগ কর্মীর আগে দায়ের করা পৃথক দুটি হামলার মামলায় ১৭ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। মঙ্গলবার তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। বুধবার (১৯ অক্টোবর) ভোরে মণিরামপুর উপজেলা থেকে ১১ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এই ২৮ জনসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে গত দুই দিনে অর্ধশতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকন বলেন, আমরা খুলনার সমাবেশে ৫০ হাজারের বেশি মানুষকে নিয়ে যেতে প্রস্তুতি নিয়েছি। মহাসমাবেশ বাধাগ্রস্ত করতে পুলিশ পরিকল্পিতভাবে নেতাকর্মীদের আটক করেছে। কিন্তু এতে সরকারের উদ্দেশ সফল হবে না।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক সার্কেল) বেলাল হোসাইন বলেন, পুলিশ পরিকল্পিতভাবে গ্রেপ্তার করছে না, যাদের বিরুদ্ধে ভাঙচুর বা অন্য মামলা রয়েছে তাদেরই গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।
এ্যান্টনি দাস অপু/এসএসএইচ