মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে জড়ো হচ্ছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা

খুলনায় বিভাগীয় গণসমাবেশ উপলক্ষে শনিবার ভোর থেকেই জোট বাধতে শুরু করেছে বিএনপির নেতাকর্মীরা। নগরীর পাওয়ার হাউজ মোড়, রেলস্টেশন এলাকায় মিলিত হয়ে সেখান থেকে মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে যাচ্ছেন তারা। এ সময় নেতাকর্মীদের হাতে স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতাদের ছবি সংবলিত প্ল্যাকার্ড, জাতীয় পতাকাসহ স্লোগান দিতে দেখা যায়।
শনিবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে নগরীর সোনালী ব্যাংক চত্বরে বিএনপির খুলনা বিভাগীয় গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। দুপুর ২টায় আনুষ্ঠানিকভাবে সমাবেশ শুরুর কথা রয়েছে। তবে নেতাকর্মীদের চাঙা রাখতে গতকাল রাত এবং আজ ভোর থেকেই সমাবেশস্থলে বক্তব্য চলছে। গণসমাবেশে যোগ দিতে শুক্রবার রাত ১০টার দিকে খুলনা পৌঁছেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের কেন্দ্রীয় নেতারা।
আরও পড়ুন : বিএনপি চা খেতে যাক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে
খুলনা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন জানান, শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ সম্পন্ন করতে সিকিউরিটি ক্যামেরা বসানো হচ্ছে। এছাড়া সমাবেশের সময় ড্রোন ক্যামেরায় নজরদারি থাকবে। পাশাপাশি সমাবেশের শৃঙ্খলা রক্ষায় দায়িত্ব পালন করবে ৪০০ স্বেচ্ছাসেবক।

বাগেরহাট থেকে আসা জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এমএ সালাম বলেন, আমরা আগেই ধারণা করেছিলাম, সমাবেশ বানচাল করতে যানবাহন বন্ধ থাকবে। বন্ধের বিষয়টি মাথায় রেখেই নেতা-কর্মীদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। বাগেরহাট থেকে আমাদের হাজার হাজার নেতাকর্মী এসেছেন। সমাবেশ জনসমুদ্রে পরিণত হতে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন : বিএনপির লবিং এবং রাষ্ট্রদ্রোহিতার প্রমাণ
খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এসএম শফিকুল আলম মনা বলেন, একটা সমাবেশকে কেন্দ্র করে সরকার এবং পুলিশের এমন তাণ্ডব খুলনাবাসী কখনো দেখিনি। পথে-পথে নেতাকর্মীদের বাধা দেওয়া হচ্ছে, তাদের আটক করা হচ্ছে। ট্রেনে যারা সমাবেশে এসেছেন তাদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। এভাবে সমাবেশ ঠেকানো যাবে না। শত বাধা উপেক্ষা করে সমাবেশের এক দিন আগেই নেতাকর্মীরা খুলনায় প্রবেশ করেছে। দূর-দূরান্ত থেকে আজও আসছেন। ইতোমধ্যে কেন্দ্রীয় প্রায় সব নেতা খুলনায় পৌঁছে গেছেন।
মোহাম্মদ মিলন/তানজীম আহমদ/এসপি