দুর্যোগ মোকাবিলায় পটুয়াখালীতে ব্যাপক প্রস্তুতি

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং আঘাত হানার আশঙ্কায় উপকূলীয় এলাকার জনসাধারনের জানমাল রক্ষাসহ পরবর্তীতে সব ধরনের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় পটুয়াখালীতে প্রস্তুতি মূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (২৩ অক্টোবর) বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসকের দরবার হলে এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার সাইদুল ইসলাম, সিভিল সার্জন ডা. মো. এস এম কবির হাসানসহ কমিটির সদস্যবৃন্দ প্রমুখ।
পটুয়াখালীর পায়রাসহ চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও মোংলা সমুদ্র বন্দরসমূহকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। পটুয়াখালীতে সকাল থেকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। তবে পরবর্তীতে বৃষ্টি হতে পারে ও স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩-৫ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছাসে প্লাবিত হতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তর।
জেলা ত্রাণ ও পুর্নবাসন কর্মকর্তা সুমন চন্দ্র দেবনাথ বলেন, দুর্যোগ মোকাবিলায় ইতোমধ্যে প্রস্তুতি মূলক সভা করা হয়েছে। জেলায় ৭০৩টি সাইক্লোন শেল্টার ও ২৬টি মুজিব কেল্লা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রয়োজন হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সরকারি-বেসরকারি বহুতল ভবনগুলোও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। গৃহপালিত প্রাণীদের জন্যও নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, দুর্যোগ-পরবর্তী জরুরি সেবা দেওয়ার জন্য ৭২টি মেডিকেল দল গঠন করা হয়েছে। দুর্যোগের সময় ২ লাখ ২৭ হাজার ৫ শত নগদ টাকা এবং ৩ শ মেট্রিক টন চাল মজুদ রয়েছে। সরকারের কাছ থেকে ২৫ লাখ নগদ অর্থ এবং ২০ হাজার প্যাটেক শুকনো খাবার সরকারের কাছে চাহিদা পত্র দাখিল করা হয়েছে।
সভার আলোচনায় বলা হয়, সকল স্কুল-কলেজ-মাদরাসায় আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়। রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ও স্বেচ্ছাসেবকরা প্রস্তুত রয়েছে।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে এবং প্রতিটি উপজেলাও কন্ট্রোল রুম খোলা থাকবে। পুলিশ আশ্রয় কেন্দ্রে আসা মানুষ ও তাদের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। এ জন্য সকল মৎস্য কর্মকর্তাদের নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
মাহমুদ হাসান রায়হান/এমএএস