সতর্ক অবস্থানে পুলিশ, সিসিটিভি ক্যামেরায় মনিটরিং

রংপুরে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ ঘিরে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ। সমাবেশস্থল কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠসহ আশপাশের এলাকা সিটি কর্পোরেশনের আওতায় থাকা সিসিটিভি ক্যামেরা দিয়ে মনিটর করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। তবে মিছিল নিয়ে সমাবেশে আসার সময় পুলিশি বাধাসহ বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা।
দুপুর ২টায় রংপুরের বিভাগীয় গণসমাবেশ শুরু হওয়ার কথা ছিল। তবে নির্ধারিত সময়ের সোয়া দুই ঘণ্টা আগে দুপুর পৌনে ১২টায় সমাবেশ শুরু হয়ে যায়। শুরুতে বিভিন্ন জেলা থেকে আসা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের স্থানীয় নেতারা বক্তব্য দিচ্ছেন।
দুপুর ২টা বাজার ১০ মিনিট আগে সভামঞ্চে উপস্থিত হন দলের মহাসচিব ও সমাবেশের প্রধান অতিথি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের শীর্ষ নেতারা।
সমাবেশে যোগ দিতে বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে লক্ষাধিক নেতা-কর্মী রংপুরে এসেছেন। অনেকেই সমাবেশস্থলের বাইরে শহরের বিভিন্ন পাড়া-মহল্লা, স্কুল ও ক্লাবের মাঠে অবস্থান নিয়েছেন। সমাবেশকে ঘিরে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
সরেজমিনে দেখা যায়, সমাবেশস্থলকে ঘিরে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের পাশাপাশি জেলা পুলিশও নিয়োজিত আছে। নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। জেলার বিভিন্ন পয়েন্টে এবং নগরীর প্রবেশদ্বারগুলোতে পুলিশি চেকপোস্ট স্থাপন করা হয়েছে।
পুলিশ বলছে, সমাবেশকে ঘিরে যাতে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয় এজন্য সবাই সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। নগরজুড়ে প্রায় দেড় সহস্রাধিক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। নেওয়া হয়েছে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এছাড়া রয়েছে র্যাব-পুলিশের গোয়েন্দা নজরদারি।
এদিকে সমাবেশস্থলের পাশেই চলছে মাসব্যাপী বাণিজ্যমেলা। সমাবেশের কারণে আজ বাণিজ্যমেলা বন্ধ রাখা হয়েছে।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার নুরেআলম মিনা জানান, বিএনপির গণসমাবেশ ঘিরে যাতে কোনো ভীতিকর পরিবেশ তৈরি না হয় সেজন্য বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। সমাবেশ মাঠের চারপাশে সিসি ক্যামেরা রয়েছে। মোটামুটি সব ধরনের প্রস্তুতি পুলিশের রয়েছে।
এসপি