‘শপথ নিয়ে বলতে হবে আগামী নির্বাচনে আপনারা কার পক্ষ নেবেন?’

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, আপনাদের আজ শপথ নিয়ে বলতে হবে আগামী নির্বাচনে কার পক্ষ নেবেন? উন্নয়নের ও স্বাধীনতার পক্ষ নাকি বিএনপির সন্ত্রাস আর লুটপাটের পক্ষ। আগামীতে আমি নির্বাচন করতে পারবো কি না বলতে পারি না। কারণ আজ আমি মারাও যেতে পারি। কিন্তু আওয়ামী লীগের নৌকা, আদর্শ সারাজীবন বেঁচে থাকবে। সেজন্য আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আবারও শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনতে হবে। উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে হবে।
শনিবার (৫ নভেম্বর) দুপুরের দিকে পাড়ইল ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়ন মহিলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে খাদ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ৭৫ এর খুনিদের জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়া এমপি, মন্ত্রী-রাষ্ট্রদূত বানিয়ে পুরস্কৃত করেছেন। শুধু তাই নয়, সংসদে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে আইন পাশ করেছিল যাতে ৭৫’এর খুনিদের বিচার করা না যায়। একটি সভ্য রাষ্ট্রে এটা কী করে সম্ভব?
খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেন, আপনাদের স্বামী, সন্তান, বাবা কিংবা মাকে যদি কেউ হত্যা করে, আপনারা কি সেই হত্যার বিচার চাইতে পারেন না। যে মানুষটি জীবনের বেশিরভাগ সময় এদেশের মানুষের মুখে হাঁসি ফুটানোর জন্য, অধিকার আদায়ের জন্য নির্যাতন সহ্য করে এ দেশকে মুক্তি করেছেন। সেই মানুষটাকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছে। আর জিয়া সেই হত্যাকারীদের পুরস্কৃত করেছে।
তিনি জনগণকে উদ্দেশ্য করে বলেন, বাংলার জনগণ উন্নয়নের পক্ষে। বিএনপির সেই আগুন, সন্ত্রাস আর লুটপাটের পক্ষে কখনোই যাবে না।
বাহাদুরপুর ইউনিয়ন মহিলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে বাহাদুরপুর ইউনিয়ন মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসনারা বেগমের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দিয়েছেন, নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুল খালেক, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক রনজিত কুমার, নিয়ামতপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব আবুল কালাম আজাদ, সহ-সভাপতি ঈশ্বর চন্দ্র বর্মন, সহ-সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফরিদ আহমেদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আইয়ুব হোসাইন মন্ডল, সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হাসান বিপ্লব, নওগাঁ জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সদস্য আলহাজ্ব আবেদ হোসেন মিলন, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনোরঞ্জন মজুমদার।
আরিফুল ইসলাম রনক/আরকে