কুষ্টিয়ায় ৫ বগি লাইনচ্যুত, ৬ জেলার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ
কুষ্টিয়ায় মালবাহী ট্রেনের সঙ্গে রেলওয়ে ট্রলির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়েছে। এতে মালবাহী ট্রেনের ৫টি বগি লাইনচ্যুত হয়। ফলে কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী, রাজবাড়ী-খুলনা ও ফরিদপুর-রাজশাহী লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
শুক্রবার (৫ মার্চ) দুপুর পৌনে ২টায় কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী রেলপথের কুষ্টিয়া মিলপাড়া ঘোরলাইন এলাকায় চলন্ত অবস্থায় ৫টি বগি লাইনচ্যুত হয়। তবে সেখানে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি বলে জানালেন পোড়াদহ রেলওয়ে থানার ওসি শাহাবুদ্দিন।
ট্রেনচালক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এই মালবাহী ট্রেনটির সকল বগি গমভর্তি ছিল। ট্রেনটি চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর থেকে ফরিদপুর যাচ্ছিল। কুষ্টিয়া স্টেশন থেকে ক্লিয়ারিং পাওয়ার পর তিনি ট্রেনটি নিয়ে কুমারখালীর দিকে যাচ্ছিলেন। ২০০ গজ যাওয়ার পর মিলপাড়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে তিনি দেখতে পান রেললাইনের ওপরে রেলের ট্রলি দাঁড়ানো অবস্থায় আছে। কিন্তু ট্রেন থেকে ট্রলিটি মাত্র ৫০ গজ দূরে থাকার সময় তিনি তা দেখতে পেয়ে ব্রেক করেও থামাতে পারেননি।
পোড়াদহ রেলওয়ে জংশনের (দৈনিক ভিত্তিক ভারপ্রাপ্ত) স্টেশন মাস্টার শরিফুল ইসলাম জানান, ‘ঈশ্বরদী থেকে ছেড়ে আসা উদ্ধারকারী ট্রেন স্টেশনে প্রবেশ করেছিল বিকেল ৩টা ৫৫ মিনিটে। এখানে সান্টিং শেষে কুষ্টিয়া বড় স্টেশন ঘটনাস্থল মিলপাড়ায় পৌঁছে গেছে।’
কুষ্টিয়ার স্টেশন মাস্টার এমএ জামান বলেন, ‘ঈশ্বরদী থেকে উদ্ধারকারী ট্রেন ডাকা হয়েছে। তবে লাইন ২৪ ঘণ্টার আগে স্বাভাবিক করার সম্ভব হবে না। তিনি দাবি করেন, ট্রলির কারণেই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। এখানে ট্রেনের কোনো দায় নেই। এ লাইনে টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেসসহ মোট চারটি ট্রেন যাতায়াত করে।’
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের পাকশী রেলওয়ে পরিবহন বিভাগীয় কর্মকর্তা প্রকৌশলী বীরবল মন্ডল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, শুক্রবার দুপুর ২টায় মালবাহী টেনের বগি লাইনচ্যুতের সংবাদ পেয়েই উদ্ধারকারী ট্রেন এসে কাজ শুরু করেছে। ঘটনাস্থলের লাইনটি সিঙ্গেল হওয়ায় উদ্ধারকাজে সময় একটু বেশি লেগে যাবে।
তিনি আরও বলেন, দুর্ঘটনাকবলিত গম বহনকারী মালবাহী ট্রেনটি ঈশ্বরদী থেকে ফরিদপুর অভিমুখে যাচ্ছিল। ঘটনার পর থেকে মেইন লাইন ব্লক হওয়ায় উদ্ধারকাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত ওই রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে। উদ্ধারকাজ শেষ করতে ঠিক কতক্ষণ সময় লাগবে তা নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না বলেও জানান এই রেল কর্মকর্তা।
রাজু আহমেদ/এমএসআর
